লেবানন সরকার চাইলেই ইরানি অস্ত্র পাবে: হিজবুল্লাহকে জারিফ
পার্সটুডে : লেবানন সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, লেবানন সরকার চাইলেই সেখানে ইরানের সামরিক সাহায্য দেয়া হবে। বৈরুত বিমানবন্দরে পৌঁছে তিনি গণকাল রোববার এই মন্তব্য করেন।
লেবানন সরকারের প্রতি তেহরানের জোরালো সমর্থনের কথা পুনরায় তুলে ধরতে গিয়ে জারিফ বলেছেন, লেবাননকে সামরিক সহায়ুা দেয়ার জন্য আমরা সব সময়ই প্রস্তুত থেকেছি ও আছি এবং আমরা নানা সময়ে তা ঘোষণাও করেছি, কিন্তু আমরা এ বিষয়ে লেবানন সরকারের অনুরোধের অপেক্ষায় আছি।
লেবাননের প্রতি তেহরানের সমর্থন দেয়াকেই তার এ সফরের উদ্দেশ্য হিসেবে তুলে ধরে জারিফ আরও বলেন, সব ক্ষেত্রেই লেবাননের ভ্রাতৃপ্রতিম সরকারের সঙ্গে কাজ করতে তেহরানের পূর্ণাঙ্গ ও সর্বাত্মক প্রস্তুতি ঘোষণা করা আমার এ সফরের উদ্দেশ্য।
জারিফ এমন সময় এসব কথা বললেন যখন লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ কয়েক দিন আগে বলেন যে, তার আন্দোলন ইসরায়েলি জঙ্গি বিমানগুলোর হামলা ঠেকাতে ইরায়ে থেকে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আনতে প্রস্তুত রয়েছে। ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মান রাশিয়ার এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সমুুল্য বা তার কাছাকাছি বলে অনেকেই মনে করেন।
লেবাননের সশস্ত্র বাহিনীকে এ অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী হতে হবে বলে জোর দিয়ে নাসরুল্লাহ আরও বলেন, সিরিয়া ও ইরাক ইরানের সামরিক সহায়ুা নিচ্ছে ও লাভবান হচ্ছে এবং আমিও ইরায়ে সফর করতে ও সেখান থেকে সামরিক সহায়ুা আনতে চাচ্ছি। তিনি প্রশ্ন করেন, ইরানের সঙ্গে সহযোগিণা করতে লেবানন কেন এখনও ভয় পাবে?
ইসরায়েলের জঙ্গি বিমানগুলো প্রায়ই লেবাননের আকাশ-সীমা লঙ্ঘন করে হিজবুল্লাহর অবস্থানে হামলা চালিয়ে আসছে এবং লেবানন সরকার এ নিয়ে প্রায়ই জাতিসংঘের কাছে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
লেবাননের জনপ্রিয় ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ সিরিয়ায় তাকফিরি-ওয়াহাবি সন্ত্রাসীদের দমনের ক্ষেত্রে আসাদ সরকারের বাহিনীকে খুব সফল সহায়ুা দিয়ে আসছে। দখলদার ইসরায়েল ২০০০ ও ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে মারাত্মক বিপর্যয়ের শিকার হয়েছিল।
লেবাননের বিগণ মন্ত্রীসভায় হিজবুল্লাহর মাত্র দুই জন মন্ত্রী থাকলেও দেশটির নতুন সরকারের মন্ত্রীসভায় হিজবুল্লাহর তিন জন নেুা স্বাস্থ্য, ক্রীড়া ও সংসদীয় উপদেষ্টা বিষয়ক মন্ত্রীর পদ পেয়েছেন। তাই লেবাননে ইরানের সামরিক সহায়ুা পাঠানোর জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ