বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চাকুরিচ্যুতি বলে মন্তব্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল অলের গার্মেন্টে মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে চাকুরিচ্যুত ১১ হাজার শ্রমিক
বিশ্বজিৎ দত্ত : মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন করতে গিয়ে ১১ হাজার শ্রমিকের চাকরি চলে গেছে। বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের ইতিহাসে এটি সবটেয়ে বড় কর্মচ্যুতি। এনজিও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অল বাংলাদেশের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল অল জানায়, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা , সাভার ও গাজীপুরের ৯৯ টি কারখানায় এই শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুত করা হয়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সাভার আশুলিয়া ও গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় শ্রমিকদের নামে মামলা হয়েছে ৩ হাজার ৫০০টি।এসব মামলায় শ্রমিকদের প্রতিদিনই নানা ধরণের হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে শ্রমিক নেতা মন্টু ঘোষ জানান, বাংলাদেশের কারখানাগুলো সবই হলো রাস্তার পাশে।গার্মেন্ট শ্রমিকরা যদি তাদের কোন ক্ষোভের কথা প্রকাশ করে তবে অবশ্যই তা তারা রাস্তায় হিয়ে করে। এটিকে পুলিশ মনে করে রাস্তা অবরোধ। তারা অতি উৎসাহি হয়ে শ্রমিকদের মারধর করে। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের প্রতি প্রশাসন ও মালিকদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। তাদের বোঝতে হবে। এখন প্রায় ৪ হাজার শ্রমিকের উপর মামলা রয়েছে। এই মামলাগুলো মালিকরা দ্রুত সরিয়ে নিলে মালিক ও শ্রমিক দুইজনেরই মঙ্গল হবে। এ বিষয়ে সম্প্রতি সিপিডির এক অনুষ্ঠানে বিজিএম্ইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানান, মামলাগুলো করেছে পুলিশ সে বিষয়ে আমাদের করার কিছু নেই। তারা আইনশৃংখলা ভঙ্গের কাজ করলে আইন অনুযায়ি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ্কই অনুষ্ঠানে চাকুরি চ্যুতির বিষয়ে শ্রমিক নেতারা জানিয়ে ছিলেন, মালিকরা কর্মচ্যুতির ক্ষেত্রে একটি নতুন পদ্ধতি নিয়েছে। তারা কারখানার সমস্ত শ্রমিককে ছাঁটাই করে। নতুন করে শ্রমিক নেয়। নতুন শ্রমিকরা কম টাকায় য্গোদান করেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি জানিয়েছিলেন, তার নিজের কারখানাতেও মুজুরি বৃদ্ধির আন্দোলেনের সময় হামলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি মামলা করেননি। কোন শ্রমিককেও চাকুরিচ্যুত করেননি। তিনি মালিকদের বলেন, মামলাগুলো বিবেচনা করার জন্য।