১৪০ কি.মি. গতির রেলকোচ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়
নূর সিদ্দিকী : ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে চলার উপযোগী ব্রডগেজের ১৫টি হাইস্পিড রেলকোচ। রেলের এই কোচগুলো প্রতি মিনিটে প্রায় আড়াই কিলোমিটার (২.৩৩ কিলোমিটার) গতিতে চলতে সক্ষম। আসনগুলো বেশ আরামদায়ক। কিছুদিন আগে এই কোচগুলো চট্টগ্রাম বন্দর আসে। গত সপ্তাহে শুক্রবার এগুলো ঢাকা হয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কোচগুলো সৈয়দপুরে এনে র্যাক তৈরি করে ট্রায়াল রান করা হবে। এরপর যাত্রী পরিবহণে চলাচল করবে।
সূত্রমতে, বর্তমানে দেশের ৩৩টি আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে কোনটিতেই এগুলোর মতো এত অত্যাধুনিক সুবিধার রেলকোচ নেই।
বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (সিএমই) হারুনুর রশীদ
জানান, এবারে আনা কোচগুলোতে প্রথমবারের মত বায়ো টয়লেট যুক্ত করা হয়েছে। এতদিন ট্রেনের টয়লেট থেকে বর্জ্য সরাসরি রেললাইনের ওপর পড়ত। এখন থেকে প্লেনের মত বায়ো-টয়লেট পদ্ধতি থাকবে এসব কোচে। যাতে রেললাইনে পড়বে না ময়লা। পরে এগুলো বিশেষ পদ্ধতিতে সরানো হবে। এ ব্যবস্থায় ট্রেনগুলো ব্যাকটেরিয়া ও দূষণমুক্ত থাকবে।
নতুন বগি কেনার প্রকল্প সূত্র জানায়, রেলে যুক্ত করার জন্য ব্রডগেজ ও মিটারগেজ উভয় ধরনের কোচ কেনা হচ্ছে। যেখানে ২০০টি মিটারগেজ কোচে খরচ ধরা হয়েছে ৫৮০ কোটি টাকা। আর ৫০টি ব্রডগেজ কোচ কেনার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৩ কোটি টাকা। প্রতিটি কোচের আমদানি মূল্য ৫ কোটি টাকা। এই ৫০ টির মধ্যে ১৫ টি দেশে এসেছে। এরপর আরও দুটি শিপমেন্টে মোট ৫০টি ব্রডগেজ রেলকোচ আসবে। এরপরে আরও ৯টি শিপমেন্টে আসতে থাকবে ২০০ টি মিটারগেজ কোচ।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রেন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পিটি ইন্ডাস্ট্রি কেরেতা এপি (ইনকা) এসব কোচ তৈরি করেছে। সেখান থেকে জাহাজে এগুলো চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়।
রেলওয়ে ট্রাফিক বিভাগ জানায়, সবচেয়ে পুরাতন ব্রডগেজ রেলকোচ যেসব ট্রেনে আছে সেখানে নতুন কোচগুলো প্রতিস্থাপন করা হবে। আর সব শিপমেন্ট পেলে আরও নতুন দুয়েকটি ট্রেন চালু হতে পারে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান/নুসরাত শরমীন