আমদানি হওয়ায় ‘সুখ সাগর’ জাতের পেঁয়াজ চাষ করেও দুঃখের সাগরে কৃষক
মতিনুজ্জামান মিটু : ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে এলসির মাধ্যমে আমদানি হওয়ায় উচ্চফলনশীল ‘সুখ সাগর’ জাতের পেঁয়াজ এবং পেঁয়াজের বীজ চাষ করেও এবার সুখের মুখ দেখতে পায়নি মেহেরপুরের চাষিরা। অথচ বিগত বছরগুলোতে এই পেঁয়াজ চাষ করে এখানকার চাষিরা বিঘা প্রতি ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ করেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের(ডিএই) উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং এর হিসেবে গত ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে দেশে ৮ লাখ ৬৩ হাজার ১০২ দশমিক ৮৮৯ মেট্রিক টন পিয়াজ ও ২০.২৬২ মেট্রিক টন পেঁয়াজের বীজ আমদানি করা হয়।
ডিএই মেহেরপুরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আখতারুজ্জামান বললেন, অন্যান্য জাতের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় মেহেরপুরের চাষিরা বিগত ১৫ বছর ধরে ভারতীয় সুখ সাগর জাতের পেঁয়াজ চাষ করে আসছেন। কিন্তু বর্তমানে এলসিতে আসায় উৎপাদিত পিয়াজের দাম পাচ্ছে না কৃষক।
বিঘায় এই পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ২০০ মণ পর্যন্ত হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, মেহেরপুর ছাড়া দেশের আর কোথাও এমন ফলন পাওয়া যায় না। একমাত্র মেহেরপুরের ৩ উপজেলা অর্থাৎ সদর, গাংনি ও মুজিব নগরে সুখ সাগর জাতের পেঁয়াজ ভালো হয়ে থাকে। এর মধ্যে মুজিব নগরের আনন্দবাস গ্রামে সুখ সাগর জাতের পেঁয়াজের সবচেয়ে বেশি ফলন হয়। সারাদেশে সুখ সাগর জাতের পেঁয়াজ সম্প্রসারণ এবং এর থেকে উন্নত জাত উদ্ভাবনের জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বারির ডাল ও তেল গবেষণা কেন্দ্রের আওতায় গবেষণা চলছে।
তিনি জানান, মেহেরপুরে চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ ও পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের জন্য ৮০০ হেক্টর জমিতে সুখ সাগর পেঁয়াজ ও পেঁয়াজের বীজসহ মোট ১২০০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। সাধারণত অক্টোবরে চাষ করে জানুয়ারি মাসে সুখ সাগর পেঁয়াজ পাওয়া যায়। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব