বিআইডিএসের প্রতিবেদন হাওরাঞ্চলে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে খাদ্য
কালাম আঝাদ : দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে বেশকিছু অঞ্চল। এর মধ্যে রয়েছে হাওর, বাওর ও বিল; চরাঞ্চল এবং পাহাড়ি এলাকা। এর মধ্যে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের হাওর নিয়ে গবেষণা করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস)। গবেষণায় বলা হয়েছে- পিছিয়ে পড়া হাওরাঞ্চলে খাদ্যে নিরাপত্তার সঙ্কট চরমে। হাওর নিয়ে বিআইডিএসের ওই গবেষণা দলে ছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস, বিনায়ক সেন, মোহাম্মদ মাঈনুল হক, জাবিদ ইকবাল, মিতালী পারভীন, মো. রিয়াজ উদ্দিন এবং কাশফি রায়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- দেশের মোট ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬০ হেক্টর এলাকাজুড়ে হাওরাঞ্চল রয়েছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় হাওর রয়েছে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৫৩১ হেক্টর, সিলেটে রয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৯ হেক্টর, হবিগঞ্জে রয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৫১৪ হেক্টর, মৌলভীবাজারে রয়েছে ৪৭ হাজার ৬০২ হেক্টর, নেত্রকোনায় রয়েছে ৭৯ হাজার ৩৪৫ হেক্টর, কিশোরগঞ্জে রয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৩ হেক্টর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাওরের পরিমাণ ২৯ হাজার ৬১৬ হেক্টর।
হাওরাঞ্চলের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকা-ের মধ্যে রয়েছে বোরো ধান ও মৎস্য চাষ। হাওরাঞ্চল থেকে মোট বোরোর ২৭ শতাংশ আসে। একই সঙ্গে দেশের মোট ধান উৎপাদনে হাওরাঞ্চলের বোরোর অবদান ১৫ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, যেখানে দেশে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ দারিদ্র্যের বসবাস, সেখানে কিশোরগঞ্জে দারিদ্র্যের হার ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ ও নেত্রকোনায় ৩৪ শতাংশ।
হাওরাঞ্চলে খাদ্যে চরম নিরাপত্তা সঙ্কট রয়েছে। এরমধ্যে সুনামগঞ্জে খাদ্যে অনিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি। জেলাটি পুষ্টির দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। স্বল্প সময়ে ৫ বছরের চেয়ে কম বয়সী শিশুদের স্বল্প ওজনের হার ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে।
হাওরাঞ্চলে তিনটি অসুবিধা রয়েছে, এখানে যখন-তখন বন্যার কারণে দারিদ্র্য যায় না, দ্বিতীয়ত- মাথাপিছু আয় খুবই কম এবং তৃতীয়ত, অবস্থানগত কারণে হাওরাঞ্চল অনেক পিছিয়ে রয়েছে। সম্পাদনা : নুসরাত শরমীন