চাল ও সবজির বাজার স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে ব্রয়লারের দাম
এস এম এ কালাম : রাজধানীর খুচরা বাজারে সপ্তাহ ব্যবধানে চাল ও শীতকালীন সবজির বাজার অপরিবতির্ত থাকলেও বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লায় মুরগি কেজি প্রতি ১০ টাকা করে বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরের শেওড়া পাড়া, কাজীপাড়া, সেনপাড়াসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা থেকে ১৪৫ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগীর দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০ টাকা। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে লাল লেয়ার ও পাকিস্তানি কক মুরগি। লাল লেয়ার মুরগি আগের সপ্তাহের মতোই বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা থেকে ২০৫ টাকায় ও পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শেওড়াপাড়ার মুরগি ব্যবসায়ী মো. সোহেল বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই ব্রয়লার মুরগির বাজার চড়া। গত সপ্তাহেও ১৪৫ টাকা করে বিক্রি করেছি এই সপ্তাহে কেজি প্রতি ১০টাকা বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারী বাজারে দাম বাড়ায় আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, গত এক মাসের ব্যবধানে মুরগিতে কেজি প্রতি প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দাম বেড়েছে।
মুরগির দাম বাড়লেও বাজারে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস আগের মতোই ৪৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে খুচরা বাজারে চলতি সপ্তাহে সকল প্রকার চালের দাম অপরিবতির্ত রয়েছে। এসব বাজারে নাজিরশাইল চাল ৫৮ টাকা, মিনিকেট চাল ৫৬ টাকা, স্বর্ণা ৪০ টাকা, বিআর ২৮ প্রতি কেজি ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এ ব্যপারে মিরপুর শেওড়াপাড়ার সুজন স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী মো আলাউদ্দিন বলেন, সপ্তাহ ব্যবধানে চালের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। কোন প্রকার চালের দাম বাড়েনি।
অপরদিকে এসব বাজারে চলতি সপ্তাহে সকল প্রকার শীতকালীন সবজির দাম একই রয়েছে। চলতি সপ্তাহে শিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, টমেটো ১৫ থেকে ৩০ টাকা, শশা ও ক্ষিরা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৮০ টাকা, নতুন আলু ১৭ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহে ২০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। পুরান আলু ১৫ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে, কচুর ছড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। লাউ প্রতিপিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ১০ থেকে ১৫ টাকা, ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক ৫ থেকে ৮ টাকা, কলমি শাক ৫ টাকা ও ডাটা শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা দরে আঁিট প্রতি বিক্রি হচ্ছে। তবে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৫ টাকা করে। আর ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২০ টাকায়। কাঁচামরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা করে।
চলতি সপ্তাহে এসব বাজারে ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতিজোড়া ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা, বাগদা চিংড়ি প্রতিকেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গলদা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বাতাশী ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, কাতল ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, রুই ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ টাকা, নলা মাছ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।