ফিরে আসছে রেশমের হারানো ঐতিহ্য
মঞ্জুর আলম : আভিজাত্য ও ঐতিহ্যের দিক বিবেচনায় রেখে গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয় রাজশাহী রেশম কারখানার ৬টি লুম। এবার আরও ৫টি লুম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর এর মাধ্যমে রেশমি কাপড়ের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশা করছে রেশম বোর্ড। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
রেশম গবেষক ও রেশম বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, অভিজাত বিপণি ও ফ্যাশন হাউসগুলোতে যেসব রেশমি পোশাক পাওয়া যায় তা রাজশাহী সিল্ক নামেই বেশি পরিচিত। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রেশম কাপড়ের মূল জোগানদার বৃহত্তর রাজশাহীর রেশম তাঁতিরা তথা রাজশাহী রেশম কারখানা।
বোর্ডের কর্মকর্তারা আরও জানান, রাজশাহী রেশম কারখানা পরীক্ষামূলকভাবে চালুর পর দুর্দিনে থাকা রেশম তাঁতিরা নতুন স্বপ্নে বুক বাঁধতে শুরু করেন যারা নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে যুগ যুগ ধরে টিকিয়ে রেখেছেন এই শিল্প। আগের ৫টির সঙ্গে এবার নতুন করে কারখানায় আরও ৬টি লুম চালুর উদ্যোগ নেওয়ায় সুদিনের স্বপ্ন হাতছানি দিচ্ছে রেশম তাঁতিদের। পর্যায়ক্রমে কারখানার সব লুমই চালু করা হবে। এখন দীর্ঘদিন পড়ে থাকা ৬টি লুম ঘষে-মেজে চালুর উপযোগী করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত রেশম বোর্ডের নিজেদের উৎপাদিত গুটিতেই কারখানায় রেশম কাপড়ের উৎপাদন চলছে। তারা কারখানার সবগুলো লুমই চালু করতে চান। তবে এজন্য আরও বেশি পরিমাণ রেশম গুটি প্রয়োজন। তাই তাদের গুটির উৎপাদন বাড়াতেও কাজ করতে হচ্ছে। যত বেশি কাঁচামাল উৎপাদন বাড়বে, ততই বেশি সংখ্যক লুম চালু করা হবে।
বুধবার রেশম কারখানা ও বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার। পরে রেশম বোর্ড আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তারা।
সভায় জানানো হয়, রেশম কারখানায় এখন পরীক্ষামূলকভাবে ৬টি লুম চলছে। লুমগুলো এপর্যন্ত ২ হাজার ৬০০ গজ কাপড় উৎপাদন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বলাকা, স্পান সিল্ক থান, কোরা বলাকা, গরদ কাপড় ও থান কাপড়। আরও ৫টি লুম চালুর উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। আগামী মাসের মধ্যেই এ কাজ সম্পন্ন হবে। তখন উৎপাদন আরও বাড়বে। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত