ইডেনের সাবেক অধ্যক্ষ হত্যায় ২ নারী গ্রেফতার পুলিশের ধারণা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারের লোভে হত্যাকা-
সুজন কৈরী : ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীন হত্যাকা-ের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলো- মামলার এজাহারনামীয় আসামি রিতা আক্তার ওরফে স্বপ্না (৩৫) ও রুনু ওরফে রাকিবের মা (৪৫)। স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকার লোভে ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষকে খুন করতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। আজ শনিবার রিমান্ডের আবেদনসহ তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি মো. মারুফ হোসেন সরদার জানান, শুক্রবার ভোরে গৃহকর্মী রিতাকে নেত্রকোনার মদন থানার নিজ গ্রাম ফতেপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি স্বর্ণের চেইন, ৭ হাজার টাকা ও নিহত মাহফুজা চৌধুরীর ব্যবহৃত ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অপর অভিযানে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে শুক্রবার দুপুরে গৃহকর্মী সরবরাহকারী রুনুকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন, খুন হবার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা জানতে পারি, তারা বাসার তিনটা কাজের মেয়ের মধ্যে দুইজন উধাও। এছাড়া আলমারিতে মূূল্যবান জিনিসপত্রও নেই। এতে আমাদের সন্দেহ বেড়ে যায়। আমরা ওই দুইজনের ঠিকানা সংগ্রহের চেষ্টা করি। বাসায় কাজের মহিলাদের যে ঠিকানা ছিল স্টোও ভুল ছিল। পরে কাজের মেয়ে সরবরাহকারীকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যে গৃহকর্মী স্বপ্নাকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকা-ের সঙ্গে সে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
এই মামলার অপর আসামী রেশমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তাকে খুঁজছি। তার দেয়া ঠিকানা ভুল ছিল। তার কোনো তথ্য কারো কাছে নেই। সে কোথা থেকে এসেছে, কীভাবে এসেছে একমাত্র নিহত অধ্যক্ষই জানতেন। তারা এই ঘটনায় নিজেদের কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করেনি। তাই টেকনোলজি ব্যবহার করাও সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি হত্যাকা-ের পর পালানোর সময় ঠিকানা লিখা ডায়েরির পাতাও ছিড়ে নিয়ে গেছে। ম্যানুয়াল প্রযুক্তিতে পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে। হত্যাকা-ের বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মারুফ হোসেন সরদার বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকার লোভে এই ঘটনা ঘটতে পারে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখন অনেক তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে। তিনি রাজধানীবাসীর কাছে আবেদন করেছেন, কাজের লোক, চালককে নিয়োগ দেয়ার সময় তাদের ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করে তথ্য থানায় জমা দিবেন। সম্পাদনা : আবদুল অদুদ