বাণিজ্য আলোচনাকে কেন্দ্র করে শক্তিশালী তেলের দর
নূর মাজিদ : যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা পণ্য বিক্রি কমে যাওয়ার নেতিবাচক খবরের পরও চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য-আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ফের শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দর। অবশ্য এই দরবৃদ্ধির পেছনে ওপেকভুক্ত দেশগুলোর সরবরাহ কমানোর ঘোষণাও অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। রয়টার্স, নাসডাক
গত বৃহ¯পতিবার বিশ্ব বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দর বায়রেল প্রতি ৯৬ সেন্ট বা দেড় শতাংশ বেড়ে ৬৪ দশমিক ৫৭ ডলারে উন্নীত হয়। এদিন পণ্যটির সর্বোচ্চ দর দাঁড়ায় ৬৪ দশমিক ৮১ ডলার। অবশ্য তা পড়ে কমে আসে। ২০১৯ সালে এটি ছিলো ব্রেন্ট ক্রুডের সর্বোচ্চ দর। একইসঙ্গে ইউএস ক্রুডের দর ব্যারেল প্রতি ৫১ সেন্ট বা দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়ে ৫৪ দশমিক ৪১ ডলারে এসে দাঁড়ায়। এদিন পণ্যটির সর্বোচ্চ দর উঠেছিলো ৫৪ দশমিক ৬৮ ডলার।
এদিকে তেলের এই দরবৃদ্ধির এই কারণ ব্যাখ্যা করেন ওয়াশিংটনভিত্তিক জ্বালানিপণ্য বিষয়ক বাণিজ্যিক পরামর্শক সংস্থা পাওয়ারহাউজের এক্সিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট ডেভিড থ¤পসন। তিনি বলেন, ‘ভেনিজুয়েলা এবং সৌদি আরবের মতো বৃহৎ দেশগুলো থেকে তেলের সরবরাহ কমানোর প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারে। এছাড়াও, বাণিজ্য আলোচনাকে কেন্দ্র করে জ্বালানি বাজারে যে ইতিবাচক হাওয়া বইছে তা তেলের দরবৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রাখে। কারণ, বাণিজ্য আলোচনায় সমঝোতা হলে বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।’
চলতি বছরে তেলের দর ২০ শতাংশ বেড়েছে। ওপেকের সঙ্গে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল উৎপাদক রাশিয়া তেল সরবরাহ কমিয়ে দেয়ার কারণেই এমনটি হয়েছে। সম্পাদনা : আনিস রহমান