বিনিয়োগ ও রপ্তানিতে দশ বছরে অগ্রগতি হয়েছে মোংলা ইপিজেডের
বাশার আল আসাদ : ২০০৮ সালে মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) বিনিয়োগ করা হয়েছিল ৪৫ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১০ কোটি টাকা। এ হিসাবে ১০ বছরে মোংলা ইপিজেডে বিনিয়োগ বেড়েছে ১১ গুণ। এছাড়া ২০০৮ সালে এ ইপিজেড থেকে রফতানি হয়েছিল ২৯৫ কোটি টাকার পণ্য। ২০১৮ সালে রপ্তানি হয়েছে ৪ হাজার ৭০৫ কোটি টাকার পণ্য। অর্থাৎ ১০ বছরের ব্যবধানে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৬ গুণ। সূত্র : বণিক বার্তা
সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, মোংলা ইপিজেডে বর্তমানে ১২৮টি কারখানা চালু রয়েছে। এসব কারখানায় কর্মসংস্থান হয়েছে কমপক্ষে ৪ হাজার ৫০০ জনের। শিগগিরই এখানে আরো ১৫টি কারখানা চালু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর জানান, ১৯৯৮ সালে ২৮৯ একর জমির ওপর মোংলা ইপিজেড গড়ে তোলা হয়। গত ১০ বছরে এ ইপিজেডে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এ সময়ে বিনিয়োগ ও রপ্তানি দুটোই উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তিনি বলেন, একসময় মোংলার অর্থনীতি ছিল কৃষি এবং মৎস্য চাষ ও আহরণনির্ভর। কিন্তু বর্তমানে এখানকার ইপিজেডে টয়োটা গাড়ির হিটিং প্যাড, ভিআইপি লাগেজ ব্যাগ, পাটজাত পণ্য, মার্বেল পাথরের সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন হয়। এসব পণ্য ভারত, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ইতালি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ডস, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এসব কর্মকান্ড দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মোংলা ইপিজেডের নারী শ্রমিক আনোয়ারা বেগম বলেন, ইপিজেডে কাজ পাওয়ায় সংসারে সচ্ছলতা এসেছে। এখন আমরা পরিবারের সদস্যদের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও দৈনন্দিন সব ব্যয় নির্বাহ সহজেই করতে পারছি। মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী এইচএম দুলাল জানান, ইপিজেডে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ইপিজেডের কারণে মোংলা বন্দরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, মোংলা বন্দরের আশপাশে শিল্পায়নের সুযোগ তৈরি করা এবং বন্দরকে গতিশীল করার লক্ষ্যে দুই দশক আগে মোংলা ইপিজেডের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। মাঝে ইপিজেড ও বন্দর দুটোই অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এগুলো আবার সচল করা হয়েছে। বর্তমানে মোংলা ইপিজেডে চার-পাঁচ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এ অঞ্চলের জন্য ইপিজেডটির গুরুত্ব অনেক।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক ম্যানেজার মো. সোহাগ বলেন, মোংলা ইপিজেড স্থাপন করা হয়েছিল মূলত বন্দরকে সচল করার লক্ষ্য থেকে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করে ইপিজেড প্রতিষ্ঠিত হয়। এ ইপিজেডে ব্যাপক শিল্পায়ন হয়েছে। বর্তমানে এখানে খালি প্লটের সংখ্যা খুবই কম। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত