জার্মানির নিরাপত্তা সম্মেলন শেষে প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে যোগ দিতে আবুধাবি গেলেন প্রধানমন্ত্রী
তরিকুল ইসলাম : জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে পরিদর্শন করতে আজ আবুধাবি গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে জার্মানির পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফররত শেখ হাসিনা সরকারের নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই হচ্ছে দ্বিতীয় কোনো দেশ সফর। সংযুক্ত আরব আমিরাতে চতুর্দশ আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি দেশটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন।
সফর সূচি অনুযায়ী, আবুধাবি সফরকালে প্রধানমন্ত্রী আল বাহার প্যালেসে ইউএই’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম প্রেসিডেন্ট শেখা ফাতিমা বিনতে মুবারক আল কেতবির সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ হবে। এছাড়া আবধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মাদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান, আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং আমিরাত অব দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মাদ বিন রশিদ আল মাকতুমসহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের সময় এলএনজি, বিদ্যুৎ অন্যান্য প্ল্যান্ট স্থাপনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও শেখ আহমেদ ডালমুক আল মাকতুমের প্রাইভেট কোম্পানির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। এছাড়া মাতারবাড়িতে ৩০০ একর ভূমিতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও শেখ আহমেদ ডালমুক আল মাকতুমের প্রাইভেট কোম্পানির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। সেন্ট রেগিস আবুধাবি হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ফিরবেন শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরব আমিরাত সফর দেশটিতে আরও বেশি কাজের সুযোগ সৃষ্টি করবে। দেশটির সঙ্গে বিনিয়োগ সংক্রান্ত দুটি সমাঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হবে। এ ছাড়া এই সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত হবে। চিকিৎসা ও প্রকৌশলসহ বেশকিছু খাতে আমিরাত সরকার ভিসা উন্মুক্ত করেছে। ইতোমধ্যেই ১৯ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য আরব আমিরাতের সাথে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, তার এই সফরেই দেশটির সঙ্গে প্রথমবারের মতো ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহায়তা, বেসামরিক বিমান পরিবহন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে। সম্পাদনা : ওমর ফারুক