সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আগুন আতঙ্ক কেটেছে, বাড়ছে রোগী এখনো বাতাসে ভাসে পোড়া গন্ধ
সুমন পাইক : সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শসোমেকহা) অগ্নিকা-ের ঘটনায় রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক কেটেছে। এখন পুরোদমে চলছে চিকিৎসা সেবা, চালু হয়েছে আইসিইউ। তবে শিশু ওয়ার্ডের বৈদ্যুতিক লাইন ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি ঠিক করতে কিছুটা সময় লাগবে। ভর্তি হতে আসা শিশু রোগীদের অন্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে আউটডোরের চিকিৎসা সেবা।
গতকাল শনিবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, পোড়া কক্ষগুলি পরিষ্কার করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক লাইনের কাজ ঠিক করা হচ্ছে। এসি, বৈদ্যুতিক পাখাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ঠিক করা হচ্ছে। ওই কক্ষগুলির বাতাসে এখনো পোড়া গন্ধ ভাসছে। হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের অধ্যাপক ডা. এসএম কামরুল আক্তার জানান, অগ্নিকা-ের সময় স্থানান্তরিত হওয়া প্রায় সব রোগীই ফিরে এসেছে। তাদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া অংশ পরিষ্কার করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি মেরামতের কাজ দ্রুত চলছে। দুর্ঘটনা অনুসন্ধান ও ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ে গঠিত ৯ সদস্যের কমিটি কাজ করছে। বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগসহ সব ধরনের চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিকভাবে চলছে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান দিলীপ কুমার বোস বলেন, আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। কি কারণে এবং কোত্থেকে আগুনের সূত্রপাত তা এখনো নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তবে তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে বলে জানান তিনি।
এদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসা করাতে আসা আসমা বেগম জানান, চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢামেকে রেফার করেছে। বাঁশের মাচা থেকে পড়ে পায়ে আঘাত পাওয়া নির্মাণ শ্রমিক আবুল জানান, চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষা করে এক্সরে করতে দিয়েছে। হাসপাতালের টিকিট কেটে এক্সরে করতে যাচ্ছি। রিপোর্ট হাতে পেলে চিকিৎসকরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। সম্পাদনা : ওমর ফারুক