ডিএসই’র বাজার মূলধন গত সপ্তাহে কমেছে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা
এস এম এ কালাম : সপ্তাহজুড়ে পতনে শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেন। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে দেশের দুই শেয়ারবাজারে। গত সপ্তাহে ডিএসইর সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমে যাওয়ায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন নেমে এসেছে ৪ লাখ ১৫ হাজার ৬৮১ কোটি টাকায়। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ২১ হাজার ১০৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা।
এ ব্যাপারে ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় বাজার মূলধনের উপর চাপ পড়েছে। গত ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন বেড়েছে। তাই সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা কমে যাওয়া এটি বাজারের স্বাভাবিক চিত্র। তিনি বলেন, বাজার বাড়লে বা শেয়ারের প্রাইজ বাড়লে আবারও মূলধন বেড়ে যাবে। বাজার চিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬১ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছিল ৯ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১৬ শতাংশ। অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ২৭ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছিল ১৮ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৯০ শতাংশ। অপর সূচক ডিএসই শরিয়াহ্ কমেছে ১১ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৯০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছিল ১২ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১৫৫টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে কমেছে ১৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির দাম। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮১৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৮২৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন কমেছে ৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা বা ১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৭৮ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ১১৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা বা ১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট শেয়ারের ৮৮ দশমিক ৯০ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির। বাকি শেয়ারের ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২ দশমিক ৫১ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার। সম্পাদনা : সোহেল রহমান, ইকবাল খান