এসএসসিতে অতিরিক্ত ২৪ কোটি টাকা আদায়কারী ৪০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা মাউশিতে
তরিকুল সুমন : ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের মাধ্যমে ২৩ কোটি ৫৫ লাখ ৮ হাজার ৮৮০ টাকা অতিরিক্ত ফি আদায় করেছে রাজধানীর ৪০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) ১১টি তদারকি টিমের প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান বলেন, আমরা ১১টি টিমের প্রতিবেদন পেয়েছি। প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা সংক্রান্ত সব বিষয়ের দায়িত্ব পালন করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড। মন্ত্রণালয় কৌশল, নীতি ও সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। সেই হিসেবে রাজধানীর অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে অভিযোগে গত ২০ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তদন্তের জন্য ১১টি অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেক অঞ্চলের জন্য একটি করে কমিটি গঠন করে। প্রতিটি কমিটিতে তিন জন করে সদস্য রাখা হয়েছিল।
মাউশি সূত্র জানায়, তালিকায় রয়েছে-রাজধানীর ইসলামবাগ আশরাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ৯২ হাজার ৪০০, ইসলামবাগ আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা, রায়হান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, মুকুলিয়া শিক্ষালয়ের ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৫০ টাকা, ওয়েস্ট অ্যান্ড হাইস্কুলের ১১ লাখ ১৫ হাজার টাকা, জামিলা খাতুন লালবাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ টাকা, নতুন পল্টন লাইন স্কুলের ৬ লাখ ৫০ হাজার ৬৫০ টাকা, শহীদ মানিক আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকা, শহীদ শেখ রাসেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ হাজার টাকা, গজমহল ট্যানারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা, সালেহা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা, ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৮৮ হাজার ৪৮০ টাকা, আশরাফাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা, হাজী আব্দুল আওয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৩২ হাজার ৩০০ টাকা, বাড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯ লাখ ১৫ হাজার ২০০ টাকা, মডেল একাডেমি ৫ লাখ ৯০ হাজার ৪০০ টাকা, মাজেদুল ইসলাম মডেল স্কুলের ৬ লাখ ২৮ হাজার ৩০০ টাকা, ধামাল কোর্ট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ লাখ দুই হাজার ৮১৫ টাকা, আলহাজ আব্বাস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ লাখ ৪ হাজার ৩২০ টাকা, শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা।
ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, এসওএস হারমান মেইনার স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৯ লাখ ৩২ হাজার ৮০০ টাকা, ইব্রাহিমপুর সালাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ৩ লাখ ৮ হাজার ৪০০ টাকা, দক্ষিণ কাফরুল মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ৭১ হাজার টাকা, সেন্ট গ্রেগরি উচ্চ বিদ্যালয় ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ২০০ টাকা, সেন্ট ফ্রান্সিস জেবিয়ার্স গার্লস হাইস্কুল ১৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা, ঢাকা সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুল ৮ লাখ ২৫ হাজার ৯৩০ টাকা, দক্ষিণ মুহছেন্দি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ২ লাখ ২ হাজার ৮০০ টাকা, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১২ লাখ ৫০ হাজার ২০০ টাকা, হাম্মাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ৩ লাখ ৯০ হাজার ৬২৫ টাকা, রমনা রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয় ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা, বংশাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯১০ টাকা, মিল্লাত উচ্চ বিদ্যালয় ৫ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ টাকা, পোগোজ স্কুল ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫০ টাকা, গ্রাজুয়েটস উচ্চ বিদ্যালয় ৮৫ হাজার ২০০ টাকা, কে এল জুবিলি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ২৫০ টাকা, আহমেদ বাওয়ানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ১২ লাখ ৫ হাজার টাকা।