সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইপি অ্যাড্রেস নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে
ইসমাঈল ইমু : সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবস্থায় (আইপি অ্যাড্রেস) নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। এজন্য আইপি অ্যাড্রেস বিতরণ নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। একই সঙ্গে অ্যাড্রেস বিতরণ, তদারকি ও পর্যালোচনার জন্য পৃথক একটি সংস্থাও গঠন করা হবে। জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (এনটিএমসি) পরামর্শে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো যন্ত্রকে যুক্ত করতে প্রতিটি যন্ত্রেরই একটা পরিচয় নম্বর থাকে, এই নম্বরটিই হচ্ছে ইন্টারনেট প্রটোকল যা সংক্ষেপে আইপি নামে পরিচিত। এই প্রটোকলের মাধ্যমে ব্যবহৃত ডিভাইসটি স্বতন্ত্রভাবে চেনা যায়। বিশ্বব্যাপী আইপি অ্যাড্রেস বরাদ্দের কাজটি পরিচালনা করে ইন্টারনেট নাম্বারস অ্যাসাইন্ড অথোরিটি (আইসিএনএ)। ইন্টারনেট প্রটোকলের প্রথম সংস্করণ আইপি ভার্সন-৪ চালু হয় ১৯৮০ সালে। এ ভার্সনে ৪০০ কোটি আইপি অ্যাড্রেস দেয়া সম্ভব হয়। গত কয়েক দশকে ইন্টারনেট নির্ভর প্রযুক্তি পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় আইপি অ্যাড্রেসগুলো শেষ হয়ে যায়। সমস্যার সমাধানে দ্য ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ার্স টাস্কফোর্স (আইইটিএফ) ১৯৯৫ সালের দিকে উদ্ভাবন করে ইন্টারনেট প্রটোকলের নতুন সংস্করণ আইপিভি-৬।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৫ কোটির বেশি। এ সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। আইপিভি-৪ প্রটোকলের আওতায় ৫ কোটি গ্রাহকের জন্য মাত্র ৯ লাখ ২৪ হাজার আইপি অ্যাড্রেস বরাদ্দ রয়েছে। তাই একটি আইপি অ্যাড্রেস হাজারেরও ওপরে গ্রাহক ব্যবহার করছে। এতে সাইবার অপরাধী শনাক্তে জটিলতায় পড়ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে সাইবার অপরাধের পরিমাণ বাড়ছে বলে মনে করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
এদিকে আইপিভি-৪ প্রটোকলের স্থানে আইপিভি-৬ হালনাগাদ করার পরামর্শ দিয়েছে এনটিএমসি। এজন্য তারা আইপি অ্যাড্রেস বিতরণ নীতিমালা প্রণয়ন করতে বলেছে। একই সঙ্গে অ্যাড্রেস বিতরণ, তদারকি ও পর্যালোচনার জন্য জাতীয় ইন্টারনেট রেজিস্ট্রি (এনআইআর) নামে পৃথক প্রতিষ্ঠান গঠনের কথা বলেছে। এনটিএমসি বলছে, আইপিভি-৬ চালু করা গেলে একটা ডিভাইসের জন্য একটা স্বতন্ত্র আইপি অ্যাড্রেস বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হবে। ফলে কেউ সাইবার অপরাধ করলে সহজে শনাক্ত করা যাবে। সম্পাদনা : ওমর ফারুক