ব্রেক্সিটের বাকি ৪০ দিন, এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে নি ব্রিটেন
লিহান লিমা: ২৯ মার্চ ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে ব্রিটেনের। সেই হিসেবে ব্রিটেনের হাতে সময় আছে মাত্র ৪০ দিন। যদিও এখনো ইইউ থেকে বেরিয়ে আসবার চুক্তি নিয়ে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে নি ব্রিটেন। খবর কাতার ভিত্তিক গণ-মাধ্যম আল জাজিরার।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রেক্সিটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই যেন দুর্বোধ্য হচ্ছে ব্রিটেনের ভবিষ্যত। যে করেই হোক চুক্তি কিংবা চুক্তি ছাড়াই ২৯ মার্চ বেরিয়ে যাবে ব্রিটেন। এই মুহুর্তে ব্রিটেনের এই বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন, টানা দুই বছর সমঝোতা চুক্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের পর দ্বিতীয় গণভোটের দাবিও জোরালো হচ্ছে।
ব্রেক্সিটের পর ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের ভবিষ্যত সম্পর্কের রুপ কেমন হবে এটি নিয়ে এখনো কোন আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে আসতে পারেনি ব্রিটিশ সরকার। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ব্রাসেলসের সঙ্গে আবারো একটি খসড়া চুক্তি করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন, যে চুক্তিতে উত্তর আয়ারল্যান্ড সীমান্তে কঠোর সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এড়ানো যাবে। গত সপ্তাহেও নিজের কৌশল নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে হেরেছেন থেরেসা মে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট হবে ভয়ঙ্কর। তবে মে ইইউ নেতাদের বলেছেন, তার পরাজয় ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে কোন বাধার কারণ হবে না। যদি না ব্রাসেলস এতে কোন বাধ সাধে। লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টিম বেল বলেন, যে কোন প্রধানমন্ত্রীই তার সদ্য পরাজয়ে দ্বিতীয়বার চিন্তা করবেন কিন্তু থেরেসা তার পূর্বের গতিতেই চলছেন।
২৭ ফেব্রুয়ারি ইউরোপিয় নেতাদের সঙ্গে তার আলোচনা নিয়ে পার্লামেন্টকে অবহিত করবেন থেরেসা মে। ওইদিন এমপিরা থেরেসার পরিকল্পনায় আবারো ভোট দেবেন।
এদিকে থেরেসার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো লেবার এমপি ভেটি কপার ইইউর ধারা-৫০ অনুযায়ী ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর লক্ষ্যে মত তৈরি করতে কাজ করছেন। এটি পার্লামেন্টকে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে কিছু সময় দেবে। যদিও মে বলছেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বের হবে ব্রিটেন। তবে ধারা-৫০ অনুযায়ী সময় বাড়াতে ব্যর্থ হলে থেরেসার দলের প্রায় ৬ জন এমপি পদত্যাগ করতে পারেন। উচপদস্থ এক সরকারী কর্মকর্তারা বলছেন, তিনি বাড়তি সময় মেনে নিতে বাধ্য হবেন। ধারা-৫০ ছাড়াও ব্রেক্সিট কৌশলের ব্রিটেনের হাতে আছে লেবার নেতা জেরেমি করবিনের ‘নমনীয় ব্রেক্সিট’ চুক্তি। কোন ধরনের ব্যাকস্টপ এড়িয়ে করবিনের এই চুক্তিতে ব্রিটেনকে ইইউ’র একক বাজারে রাখার কথা বলা হয়েছে। টিম বেল বিশ্বাস করেন, সদ্য পার্লামেন্টে থেরেসার পরাজয় করবিনের হাতকে আরো শক্তিশালী করেছে। এদিকের মের দুই দলেই শত্রু রয়েছে। টিম বেল মনে করেন, ব্রেক্সিটের পর যত তাড়াতাড়ি করজারভেটিভ পার্টি তাকে নেতৃত্ব থেকে সরাতে চাইবে। সম্পাদনা : ইকবাল খান