পায়রা বন্দরে ৩৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সিমেন্সের সঙ্গে ২৮০ কোটি ডলারের চুক্তি
নূর মাজিদ : জার্মান প্রযুক্তি ও প্রকৌশলখাতের কো¤পানি সিমেন্সের সঙ্গে পায়রা বন্দরে ৩৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাস¤পন্ন এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। শুক্রবার মিউনিখের শেরাটন হোটেলে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে হোটেল শেরাটনে সিমেন্সের প্রধান নির্বাহীর সাক্ষাৎ করার পর এই চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশের নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী খোরশেদ আলম ও সিমেন্সের প্রধান নির্বাহী এবং গ্লোবাল প্রেসিডেন্ট জো কায়সার। বাসস, বিডি নিউজ, রয়টার্স।
চুক্তি সইয়ের পর পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, বাংলাদেশে সিমেন্সের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দিয়ে কর্মকান্ড শুরু হলেও তারা স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজ করবে।
ঈররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মো. নজিবুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমেদ কাইকাস ও জার্মানীতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমদ এসময় উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিমেন্স এজি’র প্রধান নির্বাহী ও বৈশ্বিক কার্যক্রম পরিচালক জো কাইজার।
ইতোপূর্বে, ২০১৭ সালে সিমেন্সের সঙ্গে ৩৬০০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ সরকার। এই চুক্তির মূল্য প্রায় ২৮০ কোটি ডলার। যার ৮০ শতাংশ অর্থায়ন ঋণ এবং পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ থেকে সংগ্রহ করা হবে। শুক্রবারের চুক্তিটিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস-এলএনজি আমদানির জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা স¤পন্ন হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের আনুষ্ঠানিকতা আরেকধাপ এগিয়ে গেলো। চুক্তিটি স্বাক্ষরের সময় বলা হয়, কিভাবে এলএনজি আমদানি করা হবে সেই বিষয়ে একটি প্রাথমিক জরিপ পরিচালনা করা হবে।
১২০০ মেগাওয়াটের ৩টি ইউনিটের সমন্বয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে উঠছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকার পায়রা সমুদ্রবন্দরে বেশকিছু মেগা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। যার মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল এবং একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক জোন নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।
চুক্তিটি স্বাক্ষরের পরে প্রধানমন্ত্রী অপর এক জার্মান কো¤পানি ভেরিডোস গ্রুপের শীর্ষ নির্বাহী হান্স উলফগ্যাং কুঞ্জের সঙ্গে এক বৈঠকেও অংশ নেন। ভেরিডোস গ্রুপ বাংলাদেশের জন্য ই-পাসপোর্ট তৈরি করছে। পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের জুন মাস থেকেই ই-পাসপোর্ট দেয়া শুরু হবে। সম্পাদনা : ইকবাল খান