নেপথ্য শক্তিশালী মাদক কারবারি চক্রের নতুন তালিকা হচ্ছে
ইসমাঈল ইমু : কক্সবাজারের টেকনাফে ১০২ জন মাদক কারবারি আত্মসমর্পণ করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেলো অর্ধশত গডফাদার ও অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা। ঘাপটি মেরে থাকা মাদক কারবারিদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়া না গেলে সরকারের মাদক নির্মূল মিশন আলোর মুখ দেখবে না মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে একটি সূত্র মতে, নেপথ্য শক্তিশালী মাদক কারবারিদের নতুন আরেকটি তালিকা তৈরি হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে টেকনাফের বহুল আলোচিত টিটি জাফর। অভিযোগ, টিটি জাফরের সিন্ডিকেটের ১০ সদস্য টেকনাফে ইয়াবার অর্থ সংগ্রহ করে থাকেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন জালিয়াপাড়ার তাহের, আবদুল আলী, লেঙ্গা কামাল, সাইফুল, খোরশিদ। এছাড়া আবদুর রহমান বদির ভাই কাউন্সিলর মৌলভি মুজিবুর রহমান, হাজী সাইফুল করিম, বাহারছড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মৌলভি আজিজ উদ্দিন ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন, টেকনাফের নরুল হক ভুট্টো, ছিদ্দিক আহমদ। এসব শীর্ষ ইয়াবা কারবারিরা আত্মসমর্পণ না করে ঘাপটি মেরেছে। এদের আইনের আওতায় না আনা হলে আবারও ইয়াবা পাচার ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা গডফাদার ও অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকার বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মো. মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী বলেন, আত্মসমর্পণ মাদক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবেÑএ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। কিন্তু যারা দায়িত্বশীল সমাজপতি বা পুলিশ কর্মকর্তা, তারা যদি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে তাহলে মাদক নিয়ন্ত্রণ হবে কিভাবে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকা কয়েকজন ইয়াবা কারবারির বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, ইয়াবা পাচার, অর্থ লেনদেনসহ নানা বিষয়ে অনেক গডফাদার রয়েছে। মূলত এরাই ইয়াবা পাচারের নেপথ্যে কাজ করছে। আত্মসমর্পণকারীরাও জানিয়েছে, তাদের শীর্ষ ইয়াবা কারবারি বলা হলেও নেপথ্যে একটি শক্তিশালী চক্র রয়েছে। যে চক্রের সদস্যদের কারও নাম এখনো প্রশাসন বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো তালিকায় আসেনি। তারা নেপথ্যে অবস্থান করে এদের (আত্মসমর্পণকারী) দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান