জিম্বাবুয়ের বন্যাকবলিত সোনার খনি থেকে ২৪ মৃতদেহ উদ্ধার
দুর্জয় চক্রবর্তী : জিম্বাবুয়েতে দুটি বন্যাকবলিত সোনার খনি থেকে ২৪ টি মৃতদেহ ছাড়াও ৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কাদোমা শহরের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার রাতে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে উজানে বাঁধ ভেঙে যায়। এর ফলে বন্যার সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনায় প্রায় ৪০ মিটার গভীরে এখনো আরো ডজনখানেক অবৈধ খনিশ্রমিক আটকা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। বিবিসি, আল জাজিরা, এএফপি, ইয়ন
জিম্বাবুয়ে সরকার এ দুর্ঘটনাটিকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে অভিহিত করেছে। শুক্রবার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খনি দুটির খাদে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন খনি শ্রমিক আটকা পড়ে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জুলাই ময়ো খাদ থেকে পানি নিঃসরণ, নিহতদের কবর দেয়া, উদ্ধারকর্মী ও নিহতদের স্বজনদের জন্য দুই লাখ মার্কিন ডলার সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। খনি দুটির মালিক ‘রিও জিম্বাবুয়ে’ কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘খাদ দুটিতে লোকজন সোনা খুঁজতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে।’ জিম্বাবুয়ের সোনা উৎপাদনের একটি বড় অংশ আসে খনি থেকে অবৈধ উত্তোলনের মাধ্যমে।
গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে জিম্বাবুয়ে। শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি উপাত্তে দেখা যায় জিম্বাবুয়েতে বার্ষিক গড় মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬.৯০ শতাংশ, যা ডিসেম্বরে ছিল ৪২.০৯ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, গত কয়েক মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় তিনগুণ।