বাবা-মার পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত কবি আল মাহমুদ
তৌহিদুর রহমান : অসংখ্য মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় নিজ গ্রামে মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা সাহিত্যের অনত্যম প্রধান কবি আল মাহমুদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বাদ জোহর তৃতীয় জানাজা শেষে বাংলা সাহিত্যের এই রাজপুত্রকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজার নামাজ পরিচালনা করেন মাওলানা আশেক উল্লাহ ভূইয়া। জানায়ায় অংশ নিতে সকাল থেকেই তার কয়েক হাজার ভক্ত ও শুভাকাক্ষী রাজধানী-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন। জানাজার পর কবি আল মাহমুদের মরদেহের কফিনে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তির পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে মৌড়াইলের তার পারিবারিক কবরস্থানে কবিকে সমাহিত করা হয়েছে। এর আগে শনিবার রাত ৮টা ১০মিনিটে মরদেহ ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দক্ষিণ মৌড়াইল মোল্লা বাড়িতে এসে পৌঁছায়। শুক্রবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। নিজ এলাকায় পরিচিত ছিলেন পিয়ারু মিয়া নামে।
কবি আল মাহমুদ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৪ সালে গণকণ্ঠের সম্পাদক থাকাকালে কারাবরণ করেন। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদ থেকে অবসর নেন তিনি। সাহিত্যকর্মের জন্য আল মাহমুদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমিসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। সম্পাদনা : আনিস রহমান