বিদেশি খাদ্যের সম্ভাবনাময় বাজারে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ
নূর মাজিদ : এক দশকের মধ্যে সবচাইতে বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ফলে দেশের বাজার উন্নত মানের বিদেশী খাদ্যের একটি সম্ভাবনাময় বাজারে পরিণত হচ্ছে। বিশেষ করে, ক্রমবর্ধমান উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণী বিদেশ ভ্রমণের সময় সেখানকার খাদ্য ও উন্নত সেবার সঙ্গে অভ্যস্ততা গড়ে তুলছেন। দেশে ফিরেও তারা একই ধরনের খাবার ও সেবা খুঁজছেন। ফলে দিন দিন দেশে বিদেশী খাদ্যের বাজার বেড়েই চলেছে। দ্য স্টার, ওয়ার্ল্ড নিউজ।
গত শনিবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘ফুড এবং হ¯িপটালিটি’ মেলার অংশগ্রহণকারীরা এসব কথা জানিয়েছেন। শনিবারই ছিলো তিন দিনব্যাপী এই মেলার শেষ দিন। ফুডেক্স ইন্টারন্যাশনালের জেনারেল ম্যানেজার পারভেজ আহামেদ বলেন, ২০ বছর আগে আমরা বাংলাদেশে আগত বিদেশী নাগরিকদের জন্যে উন্নত খাদ্য আমদানি করা শুরু করি। তবে এখন দেশে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল শ্রেণী আমাদের পণ্যের প্রধান ক্রেতায় পরিণত হয়েছে। তাদের চাহিদার কারণে আমাদের ব্যবসায়ের পরিধিও বাড়ছে। ১৯৯৭ সালে ব্যবসায় শুরু করার পর বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানটি দেশের বৃহৎ বিদেশী খাদ্য আমদানিকারকে পরিণত হয়েছে। কো¤পানিটি বিদেশ থেকে উন্নতমানের পটেটো চিপস, চিজ, এনার্জি ড্রিঙ্কস, জুস সহ আরো অনেক খাদ্য ও পানীয় আমদানি করে।
পারভেজ আহমেদের সঙ্গে একমত পোষণ করলেন নূর ট্রেড হাউজ নামক আরেক বিদেশী খাদ্য আমদানিকারক কো¤পানির চীফ অপারেটিং অফিসার গোলাম সিদ্দিক আলী। তিনি বলেন, দেশে উন্নত বিদেশী খাদ্যের প্রকৃত চাহিদা স¤পর্কে এখনো কোন নির্ভরযোগ্য জরিপ করা হয়নি। তবে চাহিদার ভিত্তিতে আমাদের ধারণা দেশীয় বাজার দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। বিশেষ করে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উন্নত খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। সম্পাদনা : ইকবাল খান