৬ মাসের মধ্যে শর্ত পূরণ করলে চূড়ান্ত লাইসেন্স পাবে ৩ নতুন ব্যাংক
আবু বকর : ৬ মাসের মধ্যে অনুমোদনের শর্ত পূরণ করলে চূড়ান্ত লাইসেন্স পাবে ৩ নতুন ব্যাংক। গত রোববার রাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে এই তিনটি ব্যাংকের কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দেয়া হয়, সভায় একজন পর্ষদ অনুপস্থিত ছিলেন। ব্যাংক ৩টি হলো বেঙ্গল ব্যাংক, পিপলস ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংক। এ নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাংকের সংখ্যা ৬২ তে উন্নীত হতে যাচ্ছে।
গত বছর ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, পিপলস ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংকের অনুমোদন এই মুহূর্তে দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয়া হয়। সেই থেকে এসব ব্যাংকের উদ্যোক্তারা অনুমোদন পেতে নানামুখি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, বোর্ড সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তিনটি ব্যাংক অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তাদের পরিশোধিত মূলধন (পেইড আপ ক্যাপিটাল) ৫০০ কোটি টাকা হতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে দরখাস্তকালীন সময়ের নিয়মানুযায়ী ৪০০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে। বাকি ১০০ কোটি টাকা একটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে। প্রয়োজনীয় আরও শর্ত পূরণের পর পুনরায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেয়া হবে।
বেঙ্গল ব্যাংকের আবেদনে যে পরিচালকদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিলো, তাদের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে করসংক্রান্ত মামলা থাকায় অনুমোদন দেয়া হয়নি। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যাংকের কোনো পরিচালক আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হলে তিনি আর ওই ব্যাংকের পরিচালক থাকতে পারবেন না। যেহেতু আবেদন করা বেঙ্গল ব্যাংকের তিন উদ্যোক্তা পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা আছে সেহেতু তাদেরকে পরিচালক রাখলে কোনো অবস্থাতেই ব্যাংকটির অনুমোদন দেয়া সম্ভব ছিলো না।
পিপলস ব্যাংকটির আবেদনে প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা এম এ কাশেম। এই ব্যাংকটির অনুমোদন সে সময় না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, বোর্ড সভায় এম এ কাশেমের যুক্তরাষ্ট্রের যাবতীয় সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়। আবেদনে কাশেম সম্পদের যে হিসাব দেন তা যথাযথ নয় বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করেছিলো। আর সিটিজেন ব্যাংক যে আবেদন করে তাতে সেসময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় অনুমোদন দেয়া হয়নি। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান