কাদের বললেন, উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপ্রাপ্ত কেউ যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্য এমন অভিযোগ পেলে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে
সমীরণ রায় : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নেত্রী (শেখ হাসিনা) দেশে ফিরলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হবে।
গককাল সোমবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকম-লীর বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলো খুবই কম। তারপরে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে ২ জনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর বাকিদের বিষয়েও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। কেউ অভিযুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে কেউ যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্য এমন অভিযোগ পেলে, তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণ পেলে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বাকি তৃতীয় দফায় ২২ ফেব্রুয়ারি, চতুর্থ দফায় ২৩ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত হবে। তবে পঞ্চম দফা নির্বাচন যেহেতু ঈদের পর, তাই সিদ্ধান্তও পরে নেয়া হবে।
জামায়াত প্রশ্নে আওয়ামী লীগ নীতিগত সিদ্ধান্তে অটল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জামায়াত ইসলামী নিষিদ্ধে আমরা সব সময়ই প্রস্তুত। তবে জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি নিয়ে যেহেতু আদালতে মামলা রয়েছে, সে কারণে আদালতের সিদ্ধান্তের আগে কিছু বলা যাচ্ছে না। জামায়াতের কোনো নেতা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন, এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। জামায়াতের নেতারা দল পাল্টাতে পারে। কিন্তু আদর্শ পাল্টাবে না।
ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল প্রার্থী পাবে কিভাবে। কারণ ছাত্রদলের সবাই আদু ভাই।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সংগঠিনক সম্পাদক বিএম মোজ্জাম্মেল হক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকীল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান