চলতি অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের অনাদায়ী শিক্ষা ঋণের পরিমাণ ১৬ হাজার ৬শ কোটি ডলার
নূর মাজিদ : যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের খেলাপিঋণের পরিমাণ গত বছর আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে যার পরিমাণ ছিলো ১৬ হাজার ৩শ কোটি ডলার। তবে চতুর্থ প্রান্তিকে এই ঋণের পরিমাণ ১৬ হাজার ৬৪০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। ব্লুমবার্গ, ফাইন্যান্স গিক
গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ অর্থনৈতিক গণমাধ্যম ব্লুমবাগ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। নিউইয়র্কে অবস্থিত ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের অর্থনৈতিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। মূলত, ৯০ দিনের বেশি অনাদায়ি রয়েছে এমন সব শিক্ষা ঋণকে আমলে নিয়ে ব্লুমবার্গ তাদের রিপোর্ট প্রস্তুত করে। গণমাধ্যমটি বলছে, ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে অনাদায়ি শিক্ষা ঋণের পরিমাণ ১১ শতাংশে স্থির ছিলো। তবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ মোট ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৪৬ হাজার কোটি ডলার। এই সময়ে অনাদায়ি শিক্ষার্থী ঋণের পরিমাণ সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে যখন বেকারত্বের হার কমছে তখনও অপরিশোধিত শিক্ষা ঋণের বৃদ্ধি কমেনি। অর্থাৎ, অধিকাংশ মার্কিন শিক্ষার্থী তাদের নেয়া ঋণ পরিশোধে আগ্রহী নন এমন চিত্র তুলে ধরেছে ব্লুমবার্গ প্রতিবেদন। এই বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, চাকরির পরিমাণ বাড়লেও যুক্তরাষ্ট্রে কর্মীদের মজুরির পরিমাণ বাড়েনি। যার কারণেই অনেক শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষাঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে বেকারত্বের হার ৪ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।
এই বিষয়ে ব্লুমবার্গ ঋণ ও সুদের হার বিশেষজ্ঞ ইরা জার্সি বলেন, স¥াতক শিক্ষার্থীরা এখন যে বেতন পাচ্ছেন তা শিক্ষা ঋণ পরিশোধের জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি প্রশ্ন করেন, ধরুন আপনার বাড়িভাড়া, খাবার খরচে আপনার আয়ের সিংহভাগ ব্যয় করতে হচ্ছে। এই অবস্থায় কি আপনি আগে শিক্ষাঋণ পরিশোধে উদ্যোগী হবেন?
তবে সামগ্রিকভাবে এই অনাদায়ি ঋণ যে দেশটির জাতীয় বাজেটের ওপর বারতি চাপ সৃষ্টি করছে সেই বিষয়টিও স্বীকার করেন তিনি। বিশেষ করে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দেনার পরিমাণ ২২ লাখ কোটি ডলার ছারিয়েছে ঠিক তখনই অনাদায়ী শিক্ষা ঋণ যে বাজেট ঘাটতি বৃদ্ধি করবে তা প্রায় সুনিশ্চিত।