আবু আহমেদ বললেন, খেলাপিঋণ কমানোর জন্য ব্যাংকগুলোর কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করতে হবে
আমিরুল ইসলাম : দীর্ঘদিন অনাদায়ী বা তিন বছরের বেশি সময় খেলাপি থাকা ঋণ অবলোপনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নীতমালা ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে না বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি মুডি,স। বাংলাদেশে খেলপিঋণ কমানোর জন্য কী করা প্রয়োজন জানতে চাইলে অথনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেছেন, খেলাপিঋণ কমানোর জন্য ব্যাংকগুলোর কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করতে হবে। শুধু নতুন নীতিমালা করে খেলাপিঋণ কমানো যাবে না।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে রক্তক্ষরণের অন্যতম কারণ হচ্ছে খেলাপিঋণ। ব্যাংকগুলোতে সৎ মানুষের অত্যন্ত অভাব থাকার কারণে প্রতিনিয়ত খেলাপিঋণ বেড়ে চলছে। ব্যাংক ম্যানেজম্যান্ট যারা করে তাদের মধ্যেই সততার ঘাটতি রয়েছে। অনেকে ইচ্ছা করেই ঋণ নিয়ে তা আর ফেরত দেয় না, কারণ তিনি জানেন ফেরত না দিলে তেমন কিছু হবে না। আমাদের ব্যাংকিং খাতে কিছু লোক কেবল ঋণ দিতেই ভালোবাসে। ঋণ আদায়ের ব্যাপারে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নাই। ঋণ প্রদানের মাধ্যমে ব্যাংকের কর্মকর্তারা নিজেরাও কিছুটা আর্থিক লাভবান হয় বলে তারা তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয় না। ঋণখেলাপি করার জন্য কারো বাড়িঘর নিলামে এসেছে, এমন কোনো খবরতো দেখা যায় না। খেলাপিঋণের জন্য ব্যাংকগুলোর সুদের হার বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে সাধারণ মানুষ ঋণ নিতে পারছে না। ব্যাংকগুলো থেকে প্রাইভেট গাড়ি ক্রয় করার জন্য ঋণ দেয়া বন্ধ করতে হবে। নতুন ব্যাংক খোলার জন্য জামানতের পরিমাণ বাড়িয়ে ৭০০ কোটি টাকা করা উচিত। কম জামানতে নতুন ব্যাংক খুলতে পারছে বলে খেলাপিঋনও বাড়ছে। ব্যাংকগুলোর ম্যানেজমেন্ট শক্তিশালী করতে হবে। ব্যাংক কর্মকতাদের সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের নতুন অর্থমন্ত্রী বলেছেন, নতুন করে আর এক টাকাও ঋণখেলাপি হবে না। অর্থমন্ত্রী খেলাপিঋণ কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে যে রক্তক্ষরণ রয়েছে সেটা ভবিষ্যতে বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করেন আবু আহমেদ।