সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার কারণে বিপন্ন অবস্থায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের পাথারিয়া পাহাড়ের হাতিরা
আসিফুজ্জামান পৃথিল : ভারতের আসামে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার এক সংরক্ষিত বনাঞ্চল পাথারিয়া। বনটি মানবসৃষ্ট কারণে বড় ধরণের বিপদে পড়েছে। পাথারিয়া পাহাড়ের ভারত অংশে মোট ৬টি মাদি হাতি রয়েছে। এই হাতিগুলো ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশে আসতো পুরুষ হাতিদের সঙ্গে মিলিত হতে। ভারত অংশে কোন পুরুষ হাতি নেই। প্রজননের অভাবে হাতিদের এই ছোট দল যেকোন সময় বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। মঙ্গা বে
গবেষকরা বলছেন, যদি দুই দেশ মিলে সম্মিলিত ব্যবস্থা না নেয়, তবে পাথারিয়া পাহাড়ে শুধু জনবসতিই থাকবে কোন বন্যপ্রানী থাকবে না! মাত্র ৭৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পাথারিয়া রিজার্ভ ফরেস্ট বাংলাদেশের সিলেট সীমান্ত ঘেষা করিমগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। ভারত ও আসাম সরকার বেশ কয়েকবছর ধরেই বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা ২৬২ কিলোমিটারের সীমান্ত নিরাপদ করতে কাজ করছে। কিন্তু সীমান্ত নিরাপদ করতে গিয়ে তৈরী করা কাঁটাতারের বেড়ার কারণে হাতিরা সীমান্তে পারাপার হতে পারছে না। কারণ এই সীমান্তেই রয়েছে হাতিদের চলাচলের এক প্রাচীন ও বিখ্যাত করিডোর। শুধু বাংলাদেশে এই হাতিগুলো যেতো তাই নয়, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে তারা মিজোরাম এবং ত্রিপুরাতেও যেতো।
আসামভিত্তিক সংরক্ষণকর্মী পার্থশঙ্কর চৌধুরি মঙ্গাবে ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন গবেষণা আর স্থানীয় সূত্র থেকে জেনেছি, শেষ পুরুষ হাতিটি ২০১২ সালে মারা গেছে। আমার সরকারের কাছে আর্জি, প্রাকৃতিকভাবেই এই হাতিগুলোকে পুরুষ হাতিদের কাছে যেতে দেয়া হোক। না হলে তারা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আমার জানামতে, এখানে ১৯৮৪ সালে ৩০ থেকে ৪০টি হাতি ছিলো। ৭ বছর আগে তা ৭ থেকে ৮টিতে নেমে আস। এখন মাত্র ৬টি আছে। হাতির জনসংখ্যা নিয়মিতভাবে কমছে। ’ সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব