অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি রাষ্ট্রায়ত্ত আইসিবি
সোহেল রহমান : চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ‘ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ’ (আইসিবি)। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও ইক্যুইটি হিসেবে অর্থ বিতরণ, স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের পরিমাণ বাড়ানো, সার্টিফিকেট বিক্রি, মার্জিন ঋণ বিতরণ ও আদায় এবং খেলাপি ঋণ আদায়সহ উল্লেখযোগ্য প্রায় সব সূচকে পিছিয়ে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে পুঁজিবাজারে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা রয়েছে আইসিবি’র। এর বিপরীতে অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৮) সংস্থাটি বিনিয়োগ করেছে ১ হাজার ৬৯০ কোটি ১৪ লাখ টাকা (লক্ষ্যমাত্রার ৪৮ দশমিক ২৯ শতাংশ)। আর ইক্যুইটি হিসেবে অর্থ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৯০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আলোচ্য সময়ে বিতরণ করা হয়েছে ৩৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা (৪৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ)।
এছাড়া ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা মার্জিন ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে দেয়া হয়েছে ৩৫৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা (২৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ)। অন্যদিকে প্রকল্প ঋণ বিতরণ করা হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক বেশি। বার্ষিক ৩৫০ কোটি টাকা প্রকল্প ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ছয় মাসে দেয়া হয়েছে ৬৪৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
অন্যদিকে বিভিন্ন খাতে আদায়ের মধ্যে বকেয়া মার্জিন ঋণ খাতে ১ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রথম ছয় মাসে আদায় হয়েছে ৩৮২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা (২৮ দশমিক ১৩ শতাংশ), প্রকল্প ঋণ খাতে ৯৫ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৭৭ কোটি ০২ লাখ টাকা (৮১ দশমিক ০৭ শতাংশ), ইক্যুইটি হিসেবে বিতরণকৃত ৪৫ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা (২৯ দশমিক ৪২ শতাংশ)। এছাড়া খেলাপি ঋণ আদায়ের ২০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা ( ১৯ দশমিক ৪১ শতাংশ)।
অন্যান্যের মধ্যে দেশের দুই স্টক এক্সজেঞ্জে আইসিবি’র লেনদেন ২০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ছয় মাসে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২২৬ কোটি ২০ লাখ টাকা (২৬ দশমিক ১৩ শতাংশ), সার্টিফিকেট বিক্রির ৭০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিক্রি হয়েছে ৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা (১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ), মার্কেট পার্টিসিপেন্ট সংখ্যা আড়াই হাজার বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বেড়েছে ৯৩৭ জন, ইস্যু ম্যানেজমেন্টের সংখ্যা ১০-এর বিপরীতে ২টি এবং আন্ডার রাইটিং-এর সংখ্যা ৮টির বিপরীতে ৫টি অর্জিত হয়েছে। সম্পাদনা : ইকবাল খান