ডাকসু নির্বাচনে মনোনয়ন উত্তোলনে উর্ধ্বতন নির্দেশের অপেক্ষায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদল
রিয়াজ হোসেন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি চলবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু চার দিনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু মনোনয়ন ফরম তোলা হলেও নেয়নি ছাত্রলীগ-ছাত্রদল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ছাত্রলীগ প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে কয়েক দফা বৈঠক হলেও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি। দলটির নেতারা এখন গণভবনের দিকে তাকিয়ে আছেন। অন্যদিকে দাবি আদায়ে আন্দোলনের পথ ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ ভাবনায় রয়েছে ছাত্রদল। তারা বলছেন, দাবি না মানলে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে রিট করতে পারে সংগঠনটি।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ ঝিমিয়ে পড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণের সঞ্চার করেছে। সব ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ডেকে আলোচনা, রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, গঠনতন্ত্র সংশোধন, আচরণবিধি প্রণয়নে কমিটি এবং দুই দফায় পরিবেশ পরিষদের সভা হওয়ার পর নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ-সংশয় অনেকটাই কেটে গেছে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বুধবার ডাকসুর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা আছে আগামী ১১ মার্চ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়ার কাজ এগিয়ে চলছে। এই নির্বাচনে সম্ভাব্য ভোটার ৪০ হাজার।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, প্রার্থিতার বয়সসীমা নির্ধারণ করে দেয়ায় সংগঠনের চার শীর্ষ নেতাই ডাকসুর ভিপি-জিএস পদে লড়তে চান। নির্বাচনী প্যানেল নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে। কিন্তু এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
মনোনয়ন উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত। ডাকসু প্রার্থিতা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত হলে আমরা ঘোষণা দিয়ে মনোনয়ন ফরম তুলবো।
ছাত্রদল সূত্র জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণের চেয়ে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপির মাধ্যমে দেয়া দাবি আদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। নির্বাচন পেছানো, ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে করা, নিরপেক্ষ শিক্ষকদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুত ছাড় দিতে নারাজ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এছাড়া মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও প্যানেল নিয়ে সাবেক নেতাদের সঙ্গে বিএনপি প্রধানের দলীয় কার্যালয়ে কয়েক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি সংগঠনটি ।
ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের একদলীয় ও বৈষম্যমূলক আচরণকে তারা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবেন। এজন্য তাদের সাত দফা দাবি আদায়ে কর্মসূচি দেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে সহাবস্থান ও প্রার্থিতার বিষয়ে সংক্ষুব্ধ কেউ আদালতে রিট দায়ের করলে তাকে ছাত্রদল সমর্থন করবে বলে তিনি জানান। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান