এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বললেন, স্পেশাল অর্থনৈতিক অঞ্চলেই রাসায়নিক পল্লি গড়ে তোলা সম্ভব
আমিরুল ইসলাম : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় স্পেশাল অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে থেকে যেকোনো একটা স্পোশাল অর্থনৈতিক অঞ্চলেই রাসায়নিক পল্লি গড়ে তোলা সম্ভব। এর জন্য আলাদা করে জমি অধিগ্রহণ না করলেও চলবে।
রাজধানীর পুরান ঢাকার রাসায়নিকের কারখানা ও গুদাম সরিয়ে নেওয়ার প্রকল্প তৈরি ও অনুমোদন পেতেই পেরিয়ে গেছে আট বছর। গত ৩ জানুয়ারি প্রকল্পটির পরিচালক নিয়োগ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। যদিও কোনো অর্থ বরাদ্দ মেলেনি। আগামি বাজেট অর্থাৎ জুলাই মাসে টাকা পেলে জমি অধিগ্রহণ শুরু করার পরিকল্পনা করছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)। সব মিলিয়ে পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক কারখানা ও গুদাম রাসায়নিক পল্লিতে যাওয়া এখনো বহুদূরের বিষয়। শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ূন বৃহস্পতিবার চকবাজার অগ্নিকান্ডের ঘটনা পরিদর্শন করে প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের কথা বলেছেন। কীভাবে প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায়? এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, চকবাজারের অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অতীতে নিমতলীর ঘটনার পর আলাদা করে রাসায়নিক পল্লি গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হলেও আট বছরে সেটা বাস্তবে রূপ নেয়নি। তারপর আবারো চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৭৮ জন নিহত হলো। আমাদের এখন এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। পুরান ঢাকা থেকে যতো দ্রত সম্ভব সব রাসায়ানিক কারখানা ও গুদাম সরিয়ে নিতে হবে। আশা করি এতো ভয়াবহ একটি ঘটনা ঘটার পর রাসায়নিক পল্লি গড়ে তোলার প্রকল্প যতো দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করা হবে। রাসায়নিক পল্লি গড়ে তোলার জন্য আলাদা করে জমি অধিগ্রহণ না করলেও চলবে। সারা দেশে একশো স্পেশাল অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। এর মধ্যে থেকে যেকোনো একটিতেই রাসায়নিক পল্লি গড়ে তোলা সম্ভব।