কেমিক্যালের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে, জানালো ডিএসসিসির তদন্ত কমিটি
শাকিল আহমেদ : ভবনের ভেতরে গ্যাস লাইটার রিফিলের পদার্থ ছিলো। এটা নিজেই একটা দাহ্য পদার্থ। ওয়াহিদ ম্যানশনের ভিতরে আরও অন্যান্য কেমিক্যাল ছিল যা প্রত্যেকটা জিনিসই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছে বলে জানান অগ্নিকা-ের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসমূহ চিহ্নিতকরণ বিষয়ক ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পেরেশনের (ডিএসসিসি) তদন্ত কমিটি। গতকাল শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করে ডিএসসিসির ১১ সদস্য বিশিষ্টি এ কমিটি।
এসময় কমিটির সদস্য সদস্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে.কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান বলেন, আমরা দেখেছি এখানে যে জিনিসগুলো আছে সেগুলো অবশ্যই কেমিক্যাল। ওয়াহিদ ম্যানশনে কেমিক্যাল ছিল না-শিল্পমন্ত্রী কথাটা কোন আঙ্গিকে বলেছেন এটা আমার জানা নেই। পারফিউমের বোতলে রিফিল করা হতো এখানে। সেই বোতলগুলো ব্লাস্ট হয়ে বোমের মতো কাজ করেছে। এগুলো আগুনকে টিগার করেছে। যার কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
ডিএসসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী ও কমিটির আহব্বায়ক রেজাউল করিম বলেন, কয়েকদিন আগেও সিটি করপোরেশনের মেয়র এলাকাবাসীকে অনুরোধ করেছেন তারা যাতে এই কেমিক্যালগুলো সরিয়ে নেন। এখানে কিন্তু কোনও কেমিক্যালের লাইসেন্স দেওয়া হয়নি এবং কোনও লাইসেন্স রিনিউ করা হয়নি। এগুলোর জন্য আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন আগুন লেগেছে এবং কারা কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী কমিটি সে বিষয়ে তদন্ত করবেন।’
কমিটির সদস্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)পুর কৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেছেন, আমরা ঘুরে দেখলাম ওয়াহিদ ম্যানশন একটি অনেক বড় বিল্ডিং এটি কমপক্ষে ১০ কাঠা জমির ওপর নির্মিত। এ ধরনের ভবনের মধ্যে মাত্র একটি সিঁড়ি, যা পর্যাপ্ত না। ভবনের দ্বিতীয় তলায় পুরোটাই গুদাম ছিল। ওই ভবনে আগুন নির্বাপণের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না। আমরা বিভিন্ন ভবন পরিদর্শনকালে দেখেছি ৫টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওয়াহিদ ম্যানশনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার কলাম এবং ভিমগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভবনটা ব্যবহার করা যাবে কিনা তা আগামী সাত দিনের মধ্যে বিস্তারিত বলা যাবে। এছাড়া অন্যান্য ভবনগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য যে শক্তি দরকার, তা আছে বলে আমরা মনে করি।
রাজউকের অথরাইজড অফিসার নুরুজ্জামান জাহিদ বলেন, এই ভবনটি রাজউক অনুমোদিত কিনা আমরা ওভাবে এখনও তথ্য নিতে পারি নাই। ওদের সঙ্গে কথা বলে জানা যাবে আসলে তারা অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণ করেছেন কিনা।’