৮০৭ রান ও ৪৬ ছক্কার ওয়ানডে ম্যাচে শেষ হাসি ইংলিশদের
আক্তারুজ্জামান : ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্রানাডায় গত বুধবার রাতে বোলাদের ওপর ঝড় বয়ে গেছে। ক্রিকেট বিশ্বের সব বোলারই এদিন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল সম্ভবত। কেননা দুই দল মিলে স্কোর গড়েছে মোট ৮০৭ রান! দুই ইনিংস মিলিয়ে চার ছিল ৬৪টি এবং ছক্কা ছিল ৪৬টি! এক সাথে এতোগুলো ছয়ের ম্যাচ এর আগে দেখেনি ক্রিকেট দুনিয়া। দুই দলের রান বন্যার ম্যাচে ২৯ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেছে সফরকারী ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ২৪টি ছক্কা হাঁকিয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কা মারা দল এখন ইংল্যান্ড। তাছাড়া অবসর ভেঙে আসা গেইল তা-ব থামছেই না। লড়াইটা ছিল মূলত দুই দানবের মধ্যে। ক্যারিবীয় দানব ক্রিস গেইল এবং ইংলিশ দানব জস বাটলার।
বাটলারকে দু’জন সঙ্গ দেয়ায় তারা ম্যাচটি জিততে পেরেছেন। ইয়ন মরগান ও অ্যালেক্স হেলসকে নিয়েই ঝড় তোলেন বাটলার। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪১৮ করেন তারা। বাটলার ৭৭ বলে ১৩ চার ও ১২ ছয়ে করেন ১৫০ রান। এছাড়া ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ৮৮ বলে ১০৩ রান করেন মরগান। হেলস ৮ চার আর ২ ছক্কায় ৭৩ বলে ৮২ রান করেন। ৪ টি করে চার ও ছক্কা মারা বেয়ারস্টো ৫৬ রান করেন।
৪১৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা আনেন ক্রিস গেইল আর জন ক্যাম্পবেল। ক্যাম্পবেল (১৫) ঝড় তুললেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। এরপর সাই হোপও দ্রুত ফেরেন। ব্র্যাভোকে নিয়ে হাল ধরেন গেইল। শুরু থেকেই তা-ব চালান তিনি। একের পর এক বল ফেলছিলেন গ্যালারিতে। তাদের ১৭৬ রানের জুটিতে ম্যাচে টিকে থাকে স্বাগতিকরা। ব্রাভো ৬১ রান করে উডের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন। এরপর হেটমেয়ার নেমে প্রথম বলে ছক্কা মেরে পরের বলেই ফিরে যান।
অন্য প্রান্তে গেইলের ব্যাটে ভর করে এগোতে থাকে উইন্ডিজ। আদিল রশিদকে ছক্কা মেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০০ ছক্কার মাইলফলক স্পর্শ করেন। বিশ্বের ১৪তম ব্যাটসম্যান হিসেবে হন দশ হাজারি ক্লাবের সদস্যও হন। ৫৫ বলে শতক তুলে নেন তিনি। ৯৭ বলে ১১ চার আর ১৪ ছয়ে ১৬২ রান করে স্টোকসের বলে বোল্ড হন গেইল।
গেইলের বিদায়ের পর ৯৫ বলে প্রয়োজন ছিল ১২৪ রান। পরের ওভারে আদিল রশিদের বলে জেসন হোল্ডার স্টাম্পিং হন। অ্যাশলে নার্সকে নিয়ে হাল ধরেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। তাদের ৮৮ রানের জুটিতে ম্যাচে টিকে থাকে উইন্ডিজ। কিন্তু রশিদের ৫ বলের ব্যবধানে ৪ উইকেটে হার মানতে হয় স্বাগতিকদের। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিবএনটিআরসি’র মনোনীত ৫ হাজার শিক্ষক যোগদান করেনি
তরিকুল সুমন : বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশের পরও প্রায় ৫ হাজার নিবন্ধিত প্রার্থী (শিক্ষক পদে) নির্ধারিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করেননি। এসব পদ পূরণ করতে এখন দ্বিতীয় মেধা তালিকায় নির্বাচিত প্রার্থীদের সুপারিশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশকৃতদের তালিকা প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। তার দুদিন পর থেকে যোগদান কার্যক্রম শুরু হয়, যা গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে।
এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তার জানান, শিক্ষক নিবন্ধিত প্রার্থীরা মনোনীত হলেও কর্মস্থল পছন্দ না হওয়ায় অনেকে যোগদান করেননি। অনেকে আবার যোগদান করতে গেলে পরিচালনা পর্ষদ তাকে যোগদান করতে দেয়নি। ফলে এনটিআরসিএ’র সুপারিশ করা ৪০ হাজার পদের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। বর্তমানে এসব পদে নিয়োগ দিতে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় প্রার্থীদের মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাদের যোগদানের জন্য এক মাস সময় দেয়া হবে। কেউ যোগদান করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন, কেনো নির্বাচিত প্রার্থীকে যোগদান করতে দেয়া হয়নি তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হবে।
অন্যদিকে ২০১৬ সালে ১ হাজার ৪৮ জন কম্পিউটার বিষয়ক শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও মামলার কারণে গত দুই বছর তা আটকে ছিলো। গত বছর ডিসেম্বরে আদালত রায় ঘোষণা করলে এনটিআরসিএ আবারো নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করে। ইতিমধ্যে প্রায় ৭০০ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে অনেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ায় যোগদান করেননি। অবশিষ্ট পদগুলোতেও দ্বিতীয় মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন বলেন, প্রথম ধাপে যারা যোগদান করেননি তাদের পরিবর্তে দ্বিতীয় মেধা তালিকা থেকে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান