অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে আমদানি হয়েছে ১২৬ কোটি ডলারের কেমিক্যাল দ্রব্য
স্বপ্না চক্রবর্তী : দ্বিগুণ হারে কেমিক্যাল দ্রব্য আমদানি হলেও পর্যাপ্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ঘটনা ে
বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে রাজধানীর পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এসব কেমিক্যাল জনজীবনে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করছেন তারা। আমদানি করা এসব কেমিক্যাল দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করা তাই সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কেমিক্যাল দ্রব্য আমদানি হয়েছে মোট ১২৬ কোটি ডলার যা একই সময়ে গত অর্থবছরের প্রায় দ্বিগুণ।
আমদানি করা এই কেমিক্যাল দ্রব্যগুলো আবাসিক এলাকায় রাখা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, শুধু পুরান ঢাকা কেনো আমরা চাই না কোনো আবাসিক এলাকায়ই কেমিক্যাল কারখানা থাকুক। আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি এসব কারখানা সরিয়ে নিতে সক্ষমও হয়েছি কিন্তু এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতার কারণে পুরোপুরি অপসারণ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। যার ফলে নিমতলির পর চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের মতো বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা এরকম দুর্ঘটনা আর চাই না। তাই পুরান ঢাকা থেকে সব কেমিক্যাল কারখানা যত দ্রæত সম্ভব সরিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা কামণা করছি।
তবে আগামী ছয় মাসের মধ্যেই কেমিক্যাল ও প্লাস্টিক নগরী পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানী ঢাকা থেকে নিরাপদ স্থানে কেমিক্যাল কারখানা স্থানান্তরের বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এগুলো স্থানান্তরের জন্য ব্যবসায়ীদেরকে জায়গা করে দেয়া হবে। জননিরাপত্তার স্বার্থে অন্তবর্তী সময়ের জন্য এসিড ও কেমিক্যাল স্থানান্তর/সংরক্ষণের জন্য দু’টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। আরও জায়গা প্রয়োজন হলে, শিল্প মন্ত্রণালয় তারও ব্যবস্থা করবে।
শিল্পমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, পুরান ঢাকার বিভিন্ন ভবনে রক্ষিত কেমিক্যাল অন্তর্বতী সময়ের জন্য রাজধানীর শ্যামপুর এবং টঙ্গিতে নিরাপদ স্থানে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। কদমতলী থানার শ্যামপুর মৌজায় অবস্থিত বিসিআইসি’র উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরি এবং ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে টঙ্গির কাঠালদিয়া মৌজায় বিএসইসি’র খালি জায়গায় এগুলো সরিয়ে নেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে দু’টি স্থান মিলিয়ে ১২.১৭ একর জমির ওপর ৪ লাখ বর্গফুট আয়তনের স্টিল সেড নির্মাণ করে এগুলো সংরক্ষণ করা হবে।