গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল হত্যাকাÐে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি
রফিকুল ইসলাম : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে দ্ব›েদ্ব পুলিশের গুলিতে নিহত তিন সাঁওতাল হত্যাকাÐে জড়িতদের গ্রেফতার ও তাদের বিচারের দাবিতে গতকাল শনিবার উপজেলা সদরের চৌরাস্তা মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ডা. ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য প্রদান করেন- সিপিবি জেলা সভাপতি মিহির ঘোষ, বগুড়া আদিবাসী গবেষণা পরিষদ সভাপতি নজরুল হোসেন, সিপিবি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি এম.এ.মতিন মোল্লা, ক্ষেতমজুর সমিতি উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুন্নবী মিলন, কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রঞ্জু, সাহেবগঞ্জ ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন শেখ, সাধারণ সম্পাদক জাফুরুল ইসলাম, আদিবাসী নেতা রাফায়েল হাজদা, সুফল হেমব্রম ও প্রিসিলা মুরমু প্রমুখ।
এর আগে আদিবাসী-বাঙালি শত শত নারী-পুরুষ ফেস্টুন ও লাল পতাকাসহ উপজেলার মাদারপুর জয়পুর গ্রাম থেকে একটি র্যালি বের করে। র্যালিটি দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে ৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদরে চৌরাস্তা মোড়ে পৌঁছে মানববন্ধনে অংশ নেন। বক্তারা বলেন, বহুল আলোচিত তিন সাঁওতাল হত্যাকাÐে জড়িত আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তিন বছর পেরিয়ে গেলেও মূল আসামিদের আজও গ্রেফতার করা হয়নি। তারা আরও বলেন, তিন আদিবাসী হত্যা, বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাঙচুর, ক্ষতিপূরণ ও বাপ-দাদার সম্পত্তি ফেরতসহ সাত দফা দাবি দ্রæত বাস্তবায়নের তারা জোর দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর রংপুর চিনিকলের বিরোধপূর্ণ জমিতে পুলিশের উপস্থিতিতে চিনিকল শ্রমিক আখ কাটতে গেলে সাঁওতালরা বাধা দেন। এসময় পুলিশ, চিনিকল শ্রমিক ও সাঁওতালদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ বাঁধে। এতে পুলিশের গুলিতে শ্যামল হেমব্রম, মঙ্গল মার্ডি ও রমেশ টুডু নামের তিন সাঁওতাল নিহত হন। আহত হন উভয়পক্ষের ৩০ জন।