ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বললেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে আগে থেকেই পণ্য মজুদ করতে হবে
আমিরুল ইসলাম : দুই মাস ধরে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েেেছ ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ, যা গত জানুয়ারি মাসে ছিলো ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ। এর ফলে ডিসেম্বর এর পর টানা দেশে দুই মাস দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়লো। গত ডিসেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিলো ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্য থেকে মূল্যস্ফীতির চিত্র পাওয়া গেছে। সামনে রমজান মাস আসছে। সাধারণত রমজান মাসে মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেড়ে যায়। মূল্যম্ফীতিতে কীভাবে লাগাম টানা যায়? এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মূল্যস্ফীতিতে লাগাম টানার জন্য আগে থেকে পন্য মজুদ করে রাখতে হবে। পন্যগুলো মজুদ করে ট্রেডাররা যেন বিক্রি করে দেয় সেজন্য সরকারের এজেন্সিগুলোকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
মূল্যস্ফীতিটা মোটামুটি কমই ছিলো এখন একটু বেড়ে গেছে। চট করে কমানো যাবে না, এটা বাড়তেই থাকবে। আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতিটা যদি বাড়তে থাকে সেটা কমানো খুব কঠিন হয়। ট্রেডাররা এবং ব্যবসায়ীরা একটু সুযোগ পায়। এই সুযোগে তারা দাম বৃদ্ধি করতে থাকে, বিশষে করে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি করতে থাকে। রমজান মাসের আগে থেকেই কতোগুলো জিনিসের চাহিদা বেড়ে যায়। এ প্রবণতাটা থাকলে মূল্যস্ফৃতি আরো বেড়ে যাবে। এর মধ্যে রমজান মাস ও ঈদের সময়, বেতন বোনাস পাওয়ার কারণে লোকজনের কাছে টাকা পয়সা থাকবে তখন মূল্যস্ফীতি অরো বেড়ে যাবে। সাধারণ মানুষ যাদের সীমিত আয় তাদের উপর একটা চাপ পড়বে। এজেন্সিগুলো বাজার পর্যবেক্ষণ করবে, সাথে সাথে গুদামে কি পরিমাণ পণ্য স্টকে রয়েছে এগুলোও পর্যবেক্ষণ করবে। আর সরকার যদি মনে করে ট্রেডাররা পণ্য বেশি দামে বিক্রি করে, তাহলে সরকার টিসিবিতে একটা ভূমিকা রাখতে পারে। এভাবে করলে মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা কিছুটা হ্রাস করা যাবে বলে মনে করেন সালেহ উদ্দিন আহমেদ।