আবুল বারকাত বললেন, পাট শিল্পকে লাভবান করতে পাটজাত দ্রব্য উৎপাদন করার সক্ষমতা বাড়াতে হবে
আমিরুল ইসলাম : পাট শিল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, লোকসানের কথা শুনতে চাই না, লাভের দিকে মনোযোগ দিন। পাট শিল্পকে লাভজনক করার জন্য কী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন? এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাত বলেছেন, পাট শিল্পকে লাভজনক করতে চাইলে পাটজাত দ্রব্য উৎপাদন করার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে ব্যাপক বৈচিত্র্য আনা প্রয়োজন। পাটজাত পণ্যের চাহিদা নিরূপণ করতে হবে এবং বিশ^ব্যাপী পাটজাত পণ্যের বাজার খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে দুটো প্রাকৃতিক তন্তু রয়েছে। একটা হচ্ছে পাট, আরেকটি হচ্ছে তুলা। এখন পৃথিবীতে আর্টিফিসিয়াল ও সিনথেটিক জিনিসপত্র তৈরি হচ্ছে। এই সিনথেটিক জিনিসপত্রের বিরুদ্ধে দুনিয়ার মানুষজন যে পরিমাণ সোচ্চার, এটাকে কাজে লাগাতে হবে। সিনথেটিক জিনিস ভালো, না ন্যাচারাল জিনিস ভালো এ বিষয়ে এখন প্রায় সবাই জানে। ভালো ন্যাচারাল জিনিসের মধ্যে পাট একটা, আরেকটা তুলা। সবচেয়ে বেশি কাঁচা পাটের উৎপাদনকারী হচ্ছি আমরা। এই কাঁচা পাট থেকে যে পণ্য তৈরি করা হয়, এই পণ্যগুলোর বিশ^ব্যাপী চাহিদা এখন অনেক বেড়ে গেছে। যেখানে মানুষ বুঝেছে আর্টিফিসিয়াল ফাইবার ও সিনথেটিক জিনিসপত্র মানুষের জন্য ভালো নয়। কাঁচা পাটের চাহিদা তো আছেই। পাটজাত দ্রব্য, পাট থেকে এখন হয় না এমন জিনিস খুবই কম। বিশ বছর আগেও যেসব জিনিস আমরা উৎপাদন করতে পারতাম না সেসব জিনিস এখন উৎপাদন হচ্ছে। পাট দিয়ে কী হতে পারে? পৃথিবীতে কোথায় কী হচ্ছে, কী হওয়া সম্ভব? সেগুলোর খবর সংগ্রহ করতে হবে। এই কয়েকটা কাজ যদি করা যায়, পাট শিল্পে বাংলাদেশের লোকসানের কোনো চিহ্নই থাকবে না। রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এক্সেঞ্জেস রিচার্স বিভাগ পাটজাত দ্রব্যের গুণগত মান কী হতে পারে? এটা নিয়ে কাজ করতে পারে? এই কয়েকটা পদক্ষেপ নিলে লোকসান হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না, উল্টো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পাটজাত শিল্পের অবদান হবে তাৎপর্যপূর্ণ। বৈচিত্র্যপূর্ণ পাটজাত দ্রব্য, কোয়ালিটিসম্পন্ন পাটজাত দ্রব্য নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে প্রবেশ করতে পারলে লোকসানের তো কোনো প্রশ্নই থাকবে না বরং লাভ হবে এবং লাভ উত্তরোত্তর বাড়তে থাকবে। আরো বেশি পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা বাড়ানোর জন্য রিচার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এক্সচেঞ্জ রিসার্চ বিভাগকে নিয়মিত কাজ করে যেতে হবে।