বুড়িগঙ্গা ও তুরাগে তিন দিনে ১৪৮ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ১২ একর তীর ভূমি উদ্ধার
তরিকুল সুমন : বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর তীর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেও গতকাল দারুসসালাম ও মোহাম্মদপুর থানাধীন চন্দ্রিমা গার্ডেন সিটি থেকে গাবতলী ব্রীজ পর্যন্ত এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানে ৬০ টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ নিয়ে গত তিন দিনে ১৪৮ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও হাজার হাজার টন পলি অপসারণের মাধ্যমে ১২ একর তীর ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ অভিযান ১২ মার্চ থেকে আবারো শুরু হবে।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম-পরিচালক এবং ঢাকা নদী বন্দরের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, এ অভিযান সকাল ৯ টা বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলে। এসময়ে তিন তলা ৫টি, দোতলা ৬ টি, একতলা ১০টি, আধা পাকা ৭টি, বাউন্ডারী ওয়াল ২৬টি, টিনের ঘর ৬ টিসহ মোট ৬০ টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়াও ১০ ফুট চওড়া ৩০০ ফুট দৈর্ঘ একটি রাস্তাও অপসারণ করা হয়েছে। এ অভিযানের মধ্য দিয়ে প্রায় দু একর নদীর তীর বিআইডব্লিউটিএর দখলে এসেছে।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বে ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এবং দ্বীপ্তিময়ী জামান। বিআইডব্লিউটিএর বিভিন্ন স্তরের কর্তকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা জিপিএসের মাধ্যমে নদীর সীমানা ও সীমানা পিলার চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে যেসব স্থাপনা রয়েছে সেগুলো লালদাগ দিয়ে মার্কিং করা হয়েছে। এবারের এ অংশে প্রায় বড় ধরণের ৬শ অবকাঠামো রয়েছে। এছাড়াও আরো প্রায় এক হাজার ছোট ছোট স্থাপনা রয়েছে যা উচ্ছেদ করা হবে।
সূত্র জানায়, এ অভিযান ১২ মার্চ দারুস সালাম বা রামচন্দ্রপুর মৌজা থেকে চন্দ্রিমা গার্ডেন হয়ে হাবতলী ব্রীজ, ১৩ ও ১৪ মার্চ ইসাকাবাদ থেকে সিলিকস সিটি হাউজিং, ১৯-২০ মার্চ সিলিকন সিটি থেকে মধু সিটি হাউজিং, ২১ ও ২৫ মার্চ গাবতলী ব্রীজ থেকে নবাবেরবাগ (আলকাছের বালি গদি), ২৭ ও ২৮ মার্চ নবাবের বাগ থেকে আশুলিয়া ল্যন্ডিং স্টেশন পর্যন্ত এ উচ্ছেদ চলবে। সম্পাদনা : ইকবাল খান