ইসমাঈল ইমু : ক্রসফায়ারের নামে কাউকে হত্যা করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলছি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্রসফায়ারের নামে কাউকে হত্যা করছে না। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও বিজি প্রেস মাঠে আয়োজিত মাদকবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেবল মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার করে গুলি ছুড়ছে তখনই আত্মরক্ষার্থে গুলি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কাউকে হত্যার উদ্দেশ্যে নয়। এরপরও সুশীল সমাজের অনেকেই সমালোচনা করছেন বলে অভিযোগ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নাকি নিরাপরাধীদের ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করছে। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় পদক্ষেপে মাদকের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আসাদুজ্জামান খান বলেন, মাদকবিক্রেতাদের মধ্যে যারা আত্মসমর্পণ করতে চান তাদেরকে আইনি সহায়তা দেয়া হবে। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা জিরো টলারেন্সের কথা বলে বসে নেই। প্রত্যেক জেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে অফিস করা হয়েছে। আমরা আইন পরিবর্তন করেছি। যেখানে মাদক দেখছে সেখানেই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, এ অধিদফতর ঠুঁটো জগন্নাথ বা নিধিরাম সর্দারের অপবাদ কাটিয়ে উঠেছে। আগে দুই জেলায় একটি অফিস ছিল, এখন প্রতি জেলায় অফিস করা হয়েছে। ১৭ হাজার জনবলের অধিদফতরকে ৩২ হাজার ২২২ জন জনবলে পরিণত করা হচ্ছে। বাংলাদেশে মাদকের অস্তিত্ব থাকবে না বলেও জানান তিনি।
চিকিৎসক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ডা. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, ইয়াবা তিলে তিলে যুবসমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। কিন্তু মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসা আমরা বন্ধ করতে পারছি না। ৭৫ লাখ মাদকাসক্তের মধ্যে ৮২ ভাগই তরুণ। মাদকের কারণে গত ১০ বছরে সন্তানদের হাতে ২০০ বাবা-মা হত্যাকা-ের শিকার হয়েছেন। সমাবেশ শেষে ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান উপস্থিত সবাইকে মাদকবিরোধী শপথ পাঠ করান। সম্পাদনা : ওমর ফারুক