নূর মাজিদ ও আব্দুর রাজ্জাক : ব্রেক্সিট চুক্তি হলে যুক্তরাজ্য সরকার জনকল্যাণে শত শত কোটি পাউ-ের অর্থ সহায়তা দিতে সক্ষম হবে। যার আওতায় বিপুল পরিমাণ কর রেয়াত দেয়াও সম্ভব হবে। শুক্রবার দেশটির অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড একথা জানিয়েছেন। দেশটির বিখ্যাত অর্থনৈতিক দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস হ্যামন্ডের বরাত দিয়ে জানায়, বুধবার তিনি দেশটির অর্ধ-বার্ষিক বাজেটের আপডেট ঘোষণা করবেন। রয়টার্স, এনডিটিভি
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী হ্যামন্ড জানান, বর্তমানে সরকারের জনকল্যাণমূলক খাতে অর্থবরাদ্দ সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে। তবে ব্রেক্সিট চুক্তি হলে তিনি আরো ১ হাজার ৫৪০ কোটি পাউ- বরাদ্দ দিতে পারতেন। তাই তিনি কনজারভেটিভ দলের এমপিদের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তিকে সমর্থন দেয়ার আহব্বান জানান। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিচ্ছেদের লক্ষ্যে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে থেরেসা মে গত বৃহ¯পতিবার পার্লামেন্টে এক ভোটাভুটির আহব্বান জানান। এরপরেই হ্যামন্ড এই আহব্বান জানান।
শুক্রবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরেকটি নতুন ব্রেক্সিট চুক্তিকে সমর্থন দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন। এসময় তিনি বলেন, নতুন ব্রেক্সিট চুক্তিকে সমর্থন না দিলে ব্রিটেনকে বাধ্য হয়েই ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকতে হবে।
ব্রিটেনের উত্তরাঞ্চলের একটি বন্দর গিম্বসবিতে দেয়া এক ভাষণে তিনি ইইউ দেশগুলোর প্রতি বলেন, ‘আর একবার আপনাদের চেষ্টা করতেই হবে। কারণ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে যদি ব্রেক্সিট চুক্তি বিরোধী ভোট হয় তাহলে আমরা কখনোই ইইউ থেকে বেড়িয়ে আসতে পারবনা।’ তিনি আরো বলেন, যুক্তরাজ্যের এমপিদের সকলেই বিদ্যমান ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার সমাপ্তি চান। কিন্তু, এই জন্য তারা ব্রেক্সিট চুক্তিতে যুক্তরাজ্যের অধিক স্বার্থরক্ষা হবে কিনা তা নিয়েই চিন্তিত। একমাত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থনে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। সম্পাদনা : ইকবাল খান