আসিফুজ্জামান পৃথিল : আগামী ১১ এপ্রিল শুরু হবে বিশে^র বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। মোট ৭ দফায় ৫৪৩টি আসনের ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রথম দফায় ১১ এপ্রিল ২০ রাজ্যের ৯১টি আসনে ভোট নেওয়া হবে। ২য় ধাপে ১৮ এপ্রিল ভোট নেওয়া হবে ১৩ রাজ্যের ৯৭ আসনে। ২৩ এপ্রিল ১৪ রাজ্যের ১১৫ আসনে হবে ভোটগ্রহণ। ২৯ এপ্রিল ৪র্থ দফায় ৯ রাজ্যের ৭১টি আসনে ভোট নেওয়া হবে। ৫ম ধাপে ৬ মে ৭ রাজ্যের ৫১ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ১২ মে হবে ৭ রাজ্যের ৫৯ আসনে ভোটগ্রহণ। আর শেষ ধাপে ৭ রাজ্যের বাকি আসনে ভোট নেওয়া হবে ১৯ মে। ভোট গণনা করা হবে ২৩ মে।
গতকাল রোববার ভারতের জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেন, দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সুনিল আরোরা। ইশতেহার ঘোষণার আগে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন অবাধ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বঅচন নিশ্চিত করবে। তিনি জানান, আগামী ৩ জুন লোকসভার মেয়াদ শেষ হবে। এর আগেই দায়িত্ব নিতে হবে নতুন সরকারকে। ভারতে বছরের পর বছর ধরে নির্বাচন ব্যবস্থা জটিল হয়েছে বলেও জানান তিনি। সুনিল আরোরা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সহিংসতা ঠেকাতে নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবারের ভোটারের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি ভোটিং ম্যাশিন থাকবে। এবার ভোটাররা মেশিনের পাশে প্রার্থীদের ছবি দেখতে পাবেন। গতবছর ৯ লাখ ভোটিং বুথ ছিলো এবার বুথের পরিমাণ ১০ লাখ। সিইসি জানান, যেসব ভোটার সহিংসতা ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করবেন, তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। তিনি আরো জানান, গুগল, ফেসবুক এবং ইউটিউব জানিয়েছে এবারের সব রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন সত্যায়িত করা হবে। সারা দেশে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হবে অন্ধ্রপ্রদেশ, উড়িশ্যা, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশে। জম্মু কাশ্মীরের বিধানসভার মেয়াদ শেষ হলেও এখানে নির্বাচনের বিষয়ে কিছু জানাননি সিইসি।
পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনে ভোট হবে সাত দফায়। প্রথম দফায় ভোট দুইটি আসনে, দ্বিতীয় দফায় ভোট তিনটি আসনে, তৃতীয় দফায় ভোট পাঁচটি আসনে, চতুর্থ দফায় ভোট আটটি আসনে, পঞ্চম দফায় ভোট সাতটি আসনে, ষষ্ঠ দফায় ভোট আটটি আসনে এবং সপ্তম দফায় ভোট হবে নয়টি আসনে। এই ইসতেহার ঘোষণার সঙ্গেই সারা ভারতে বলবৎ হয়ে গেলো নির্বাচনী আচরণ বিধি। অর্থাৎ, নতুন কোনো প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারবে না কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলো। সম্পাদনা : ইকবাল খান