শাকিল আহমেদ : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উন্নয়নে প্রয়োজনে একজন সাধারণ দিনমজুর বা শ্রমিকের মতো কাজ করতে চাই। নগরবাসীর সেবা করতে প্রয়োজনে সকল প্রটোকল ভেঙে আমি কামলা হিসেবে কাজ করতে চাই। আজকে দায়িত্ব গ্রহণের মধ্যে দিয়ে আমি ঘোষণা দিয়েছি উত্তর সিটি কর্পোরেশন দুর্নীতিমুক্ত থাকবে।
রোববার বিকেলে গুলশানে নগরভবনে মেয়র হিসেবে প্রথম কার্য দিবসে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি। মেয়র হিসেবে তার ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আতিকুল বলেন, ডিএনসিসির আওতাধীন প্রত্যেকটি দোকানে একটি করে ময়লার বিন এবং দুটি করে ফুল-ফল টব রাখতে হবে। অনুরোধ এবং নির্দেশনা অনুযায়ী এ কাজগুলো যারা করবে তাদেরকে রিওয়ার্ড প্রদান করা হবে, অন্যথায় এ বিষয়ে যখন থেকে আমাদের অভিযান শুরু হবে তখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি যারা বাসার ছাদে, ব্যালকনিতে বাগান করবেন তাদের কর অবকাস সুবিধা দেয়া হবে।
তিনি বলেন, একজন সিটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব অনেক তবে সেসব দায়িত্বগুলোকে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী বিবেচনায় বাস্তবায়ন করবো। বেশি ভোগান্তির কারণ সেসব সমস্যাগুলো অতিদ্রুত সমাধান কল্পে আজকে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি। নগরের অন্যতম সমস্যা হল জলাবদ্ধতা। কিন্তু এটি অতিদ্রুত সমাধান সম্ভব নয়। কারণ ইতোমধ্যে বর্ষা মৌসুম চলে আসছে। তবে এটি যেন সহনীয় মাত্রায় থাকে সেজন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ শুরু হয়ে গেছে।
এছাড়া আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে ‘লাভ ঢাকা’ শ্লোগানে ডিএনসিসির ৫টি অঞ্চলে বিভক্ত করে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক ক্যাম্পেইন শুরু হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, বর্জ্য আমাদের জন্য বোঝা না হয়ে সম্পদে পরিণত হয় সেজন্য কাজ শুরু করবো। একই সঙ্গে হোল্ডিং ট্যাক্সে অটোমেশন পদ্ধতি উন্নতি করার জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে নগরবাসীর সমস্যা জানাতে একটি হট লাইন সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছি।
মেয়র আরও বলেন, ডিএনসিসির আওতায় শহরের যেখানে দেয়াল লিখন আছে এবং ব্যানার-পোস্টার আছে সেগুলো মুছে বা নামিয়ে ফেলতে হবে। নতুন করে কেউ যেন এসব আর না করে সেজন্য নগরবাসীকে অনুরোধ করছি। সেই সঙ্গে বাসাবাড়ি নির্মাণের সময় নির্মাণ সামগ্রীগুলো যাতে মানুষের সমস্যার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া যেখানে যেভাবে কাজ করলে আমাদের শহরের ভালো হবে, আমি সেভাবেই কাজ করবো। কোথাও যদি কোনো ফাইল আটকে থাকে প্রয়োজনে আমি প্রটোকল ভেঙে দফতরির (কেরানি) সামনে বসে থাকব।
তিনি বলেন, আমার ২০টা মেশিন থেকে আজ ১২ হাজার মেশিন হয়েছে। আমি কাজ করেছি বলেই তো হয়েছে। বসে থাকলে হতো না। এখানেও বসে থাকব না। আমি নগর পিতা বরং নগর সেবক হতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়–য়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুবায়ের সালেহীনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।