লিহান লিমা : ইথিওপিয়ায় বিধ্বস্ত বিমানের ১৪৯ জন যাত্রী ও ৮জন ক্রু সদস্যের কেউই বেঁচে নেই। গতকাল রোববার স্থানীয় সময় সকালে এই দূর্ঘটনা ঘটে। বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা।
রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে কেনিয়ার নাইরোবির উদ্দেশ্যে যাত্রা করার মাত্র ৬ মিনিটের মাথায় বিধ্বস্ত হয় ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ ‘বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-৮’। রাজধানী থেকে ৩৭ মাইল দূরের বিশফোতুতে এই দূর্ঘটনা ঘটে। টুইটারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
ইথিওপিয় এয়ারলাইন্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই ফ্লাইটে ৩৩ দেশের নাগরিক ছিলেন। এয়ারলাইন্সের সিইও তেওলদি গেমব্রিমারিয়েম সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ফ্লাইটে ৩২জন কেনিয়, ১৮ কানাডিয়, ৮ আমেরিকান, ৭ ব্রিটিশ, ৭ ফরাসি, ৬ মিশরীয়, ৫ ডাচ, ৪ ভারতীয় ও ৪ স্লোভাকিয়ান, ৩ অস্ট্রেলিয়, ৩ সুইডিশ, ৩ রুশ, ২ মরোক্কান, ২ স্পেনিদাদ, ২ পোলিশ ও ২ ইসরায়েলি ছিলেন। এছাড়াও বেলজিয়াম, ইন্দোনেশিয়া, সোমালিয়া, নরওয়ে, সার্বিয়া, টোগো, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, উগান্ডা, সুদান ও ইয়ামেনের একজন করে যাত্রী ছিলেন। ইথিওপিয়ায় চীনের দূতাবাস জানিয়েছে, ৮জন চীনা যাত্রী ওই ফ্লাইটে ছিলেন।
এই দূর্ঘটনার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও পাইলট সংকটের কথা উল্লেখ করে আদ্দিস আবাবার দিকে ফেরত আসতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে এয়ারলাইন্স। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, বিমানে আগুন লেগে এটি ভূমিতে পড়ে যায়। সবকিছু পুড়ে গিয়েছে।
মাত্র দুই বছর আগে নতুন বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স তৈরি করা হয়। এর পরে ইথিওপিয়া এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হয় ২০১৮ সালে। তবে একই মডেলের অপর একটি ইন্দোনেশীয় বিমান পাঁচ মাস আগে বিধ্বস্ত হয়। ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের ওই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৯০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এর আগে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ইথিওপিয় এয়ারলাইন্সের এক বিমান বিধ্বস্তে ৮৩জন যাত্রী ও ৭ জন ক্রু মারা যান। সম্পাদনা : ইকবাল খান