শাকিল আহমেদ : পুরান ঢাকায় রাসায়নিক গুদামে ক্ষতিকর ও ঝুকিপূর্ন দাহ্য পদার্থ পাওয়ার অভিযোগে ১লা মার্চ থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৩২ টি হোল্ডিংয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ১৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক ও ১০টি প্রতিষ্ঠানকে গোডাউন সরিয়ে নেয়ার জন্য সময় দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স। অভিযানের ১০ম দিনে গতকাল সোমবার মোট ৯টি হোল্ডিং এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে টাস্কফোস। এছাড়া ৮টি কারখানা সরিয়ে নেয়ার জন্য সময় বেধে দেয়া হয়েছে এবং ১টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল টাস্কফোসের্র অভিযানে পুরাণ ঢাকার দেবীদাস লেনে অবস্থিত ৯টি হোল্ডিং এর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া ১টি টিনের তৈরী চারতলা স্থাপনা ১৫ দিনের মধ্যে রাজউককে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া নিচ তলার গোডাউনে থাকা নিষিদ্ধ পলিথিনের গুদাম ও ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা পরিবেশসম্মত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছে।
এদিকে পুরাণ ঢাকার কে বি রুদ্র রোড, হরনাথ ঘোষ রোড, খাজা দেওয়ান ১ম লেনে প্লাষ্টিক কারখানা, রিসাইকেল দানা, হ্যাঙ্গার কারাখানা, প্লাষ্টিকের দোকানসহ মোট ১০টি হোল্ডিং পরিদর্শন করে রাসায়নিক বা ক্ষতিকর কোন দাহ্য পদার্থ না পাওয়ায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি টাস্কফোর্স। এছাড়া মনেশ্বর রোডে এরোসল, বডি স্প্রে ও এয়ার ফেসনার কারখানা আগামী ২ দিনের মধ্যে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এবং মনেশ্বর রোডের ছাপাখানায় ফায়ার ইকন্টুজার ব্যবস্থার জন্য ২ দিনের সময় দেয়া হয়েছে। এছাড়া মনেশ্বর রোড স্যানিটারি টয়াল ব্যান্ডেজ কারখানা ইনহাইজেনিক বলে ১লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে হাজারীবাগ মনেশ্বর রোডে এসিআইয়ের গোডাউন ও মালামাল সরানোর জন্য ২দিনের সময় দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালামাল সরানো না হলে গোডাউন সীলগালা করা হবে বলে জানান টাস্কফোর্স।
এছাড়া বনগ্রাম রোডের ৫ ও ১৫৭ নং হোল্ডিংয়ের রাবার, গাম ও ইলেকট্রিক তারের গোডাউন সরানোর জন্য দুইটি গোডাউনের মালিককে ৫ দিনের সময় দেয়া হয়েছে। একই সাথে বনগ্রাম রোডে তিনটি কেমিক্যাল গোডাউন খালি করা হয়েছে।
এবিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তা ও ১ নং টিমের আহবায়ক এয়ার কমডোর মো. জাহিদুর রহমান বলেন, পরিষেবা সংযোগ বিছিন্ন করা কারখানার মালিকরা যদি তাদের ক্ষতিকর দাহ্য পদার্থ সরিয়ে নিয়ে আমাদের কাছে আবেদন করে তাহলে পুনরায় তাদের সংযোগ ফিরিয়ে দেয়া হবে। আর কেউ যদি ঝুঁকিপূর্ন কেমিক্যাল সরিয়ে না নেয় তাহলে আমরা আইনের কঠোর প্রয়োগ করবো। পুরো এপ্রিল মাসব্যাপী অভিযান চলবে। সম্পাদনা : ওমর ফারুক