রিয়াজ হোসেন: ডাকসুর ভোটে অনিয়ম, কারচুপি, জালভোট ও ছাত্রলীগের অধিপাত্যের অভিযোগ তুলে অবিলন্বে নির্বাচন বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে চারটি ছাত্রসংগঠন। গতকাল সোমবার দুপুরে নির্বাচন বর্জন করে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় প্রগতিশীল ছাত্রজোট, স্বতন্ত্র জোট, স্বাধিকার পরিষদ ও কোটা আন্দোলন। ধর্মঘটের সমর্থন জানিয়েছে ছাত্রদল, জাসদ ছাত্রলীগ (ইনু), জাসদ ছাত্রলীগ (আম্বিয়া) ও ছাত্র মৈত্রী।
সংবাদ সম্মেলনের পর ভোট বর্জনকারী ছাত্রসংগঠনগুলো ভিসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। ছাত্র নেতারা বক্তব্যে বলেন, পুন তফসিল ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত ভিসির কার্যালয়ে সামনে তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এ সময় চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় গিয়ে চার প্যানেলের প্রার্থীরা অভিযোগের বিষয়ে লিখিত দাবি জানায়। এতে তারা, ভোট বাতিল ও কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান।
তবে, চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা তার কোনো ক্ষমতা নেই দাবি করে বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের সাথে আলাপ করবেন বলে জানালে শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নেন। প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা ও ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী, স্বতন্ত্র জোটের ভিপি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান, স্বাধিকার পরিষদের এম আর আসিফ, কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদ। এরআগে ছাত্রদল সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ভিসি বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। পরে সেখান থেকে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী ভিপি মোস্তাফিজ রহমান ও জিএস প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার অনিকের নেতৃত্বে সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিক্ষোভ শেষে ভোটবর্জনকারী সংগঠনগুলো টিএসসি চত্বরে অবস্থান নেয়। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু ও আনিস