আসিফুজ্জামান পৃথিল : ঘোষিত হয়ে গেছে ভারতের নির্বাচনী তফসিল। আগামী ১১ এপ্রিল শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে ১৯ মে পর্যন্ত। ভোট গণনা করা হবে ২৩ মে। এই নির্বাচনে জয়লাভ করবে বলে আশাবাদী বর্তমান বিরোধী দল কংগ্রেস। তারা জনগনকে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে রমজান মাসে ভোট আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন সংখ্যালঘু নেতারা। তাদের মতো রমজানে রোজা রেখে ভোট দেওয়া শুধু ভোটারদের জন্যই নয়, প্রার্থীদের জন্যও প্রচারাভিযান চলা কষ্টকর হবে। ইয়ন, এনডিটিভি, টাইমস নাও, বিবিসি, সিএনএন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারাভিযান শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস। তারা ভারতীয়দের ঠিকমতো নিজেদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলছে, ‘এখন সময় জনগণের।’ রোববার তফসিল ঘোষণার পরপর টুইটারে পোস্ট করে কংগেসে। নিজেদের অ্যকাউন্টে হিন্দি ভাষায় ভারতের প্রাচীণতম দলটি লেখে, ‘দামামা বেজে গেছে, এখন সময় জনগনের, মিথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমরা মিথ্যুকদের এই জান্তাকে অপসারণ করবো। আমরা প্রস্তুত। জয় আমাদের হবেই।’ এদিকে তফসিল ঘোষণার পরপর টুইট করেন প্রধানমসন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি প্র্িরতদ্বন্দিদের শুভকামনা জানানোর পাশাপাশি, ৫ বছরে দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। ২০১৪ সালের মতো এবারও তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ব্যাপক বিজয় অর্জন করবে বলেও মন্তব্য করেন মোদী। গত ৫ বছরে আমরা দেখিয়েছি ১৩০ কোটি ভারতীয়র আশির্বাদ আর অংশগ্রহণে আগে অসম্ভব বলা বিষয়গুলো খুবই সম্ভব। ২০১৯ সালের নির্বাচন হবে, জনগনের স্বপ্ন পূরণের নির্বাচন। তিনি বলেছেন, ভারত বিশে^র দ্রুক বর্ধনশীল অর্থনীতি, রেকর্ড গতিতে দেশটি দারিদ্র দমন করছে, দুর্নীতি দূর হচ্ছে, দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। মোদী আরো দাবী করেন, ৫০ কোটি ভারতীয় বিনামূল্যে উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছে। ১২ কোটি কৃষককে সরাসরি ৬ হাজার রুপি নগদ অর্থ সহায়তা করা হচ্ছে।
এদিকে রমজান মাসে ভোট আয়োজনের জন্য নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংখ্যালঘু নেতারা। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে। দলটির দাবি, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর প্রদেশের সংখ্যালঘু ভোটারদের ভোট প্রদানে বাঁধা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই সরকার এই ষড়যন্ত্র করেছে। কোলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, এই ষড়যন্ত্রের পরেও চিন্তিত নয় তার দল। তার মতো পুরো দেশই বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও মতাদর্শে বিশ^াসী। হাকিম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা, আমরা তাদের শ্রদ্ধ করি। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কিছু বলবো না। কিন্তু ৭ দফার নির্বাচন বিহার, ইউপি আর পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য কঠিন হবে। যারা রোজা রাখবেন, তাদের জন্য হবে সবচেয়ে কঠিন।’ সম্পাদনা : ইকবাল খান