তরিকুল সুমন : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নৌপথ তৈরি করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করার সক্ষমতা আমাদের আছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জিডিপির হার ডাবল ডিজিটে উন্নীত করা হবে। নৌপথ খননে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তরা এগিয়ে আসছেÑএটি একটি ভাল দিক।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ‘মাল্টিÑস্টকহোল্ডার ওয়ার্কশপ অন ড্রেজিং : অপরচুনিটিজি অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো নদী খননে কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি, তারা পরিকল্পিতভাবে নৌপথকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। তারা নামকাওয়াস্তে ড্রেজিং করেছে, ড্রেজিংয়ের নামে তখন দুর্নীতি হয়েছে।
খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, এখন সময় এসেছে দেশের জন্য ভাল কিছু করার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে বর্তমান সময় ও সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশ আরো এগিয়ে নিতে হবে।
ওয়ার্কশপে জানানো হয় যে, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ৭টি, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ দু’টি এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি করে মোট ১১টি ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৩ কোটি ৩৩ লাখ ৭৬ হাজার ঘনমিটার বা ৮৪ কোটি ৫০ লাখ ৮৩ হাজার ২শ টন (১ ঘনমিটার = ১.৯৫ টন হিসেবে) ড্রেজিং করা হবে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত এক কোটি ৮৭ লাখ ১৪ হাজার ঘনমিটার ক্যাপিটাল ও সংরক্ষণ ড্রেজিং বাবদ ২৮৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার ও নৌসচিব মো. আবদুস সামাদ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ভোলা নাথ দে। সম্পাদনা : আনিস রহমান