সুজন কৈরী : তুরাগ নদীর তীর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ১৭তম দিনে বুধবার মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান ও রামচন্দ্রপুর এলাকা ও এর বিপরীত পাশে সাভারের বড়বরদেশী মৌজায় অভিযান চালিয়ে ৫৭টি ছোটবড় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এ সময় শত শত বিঘা জমি দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা সিলিকন সিটি ও আকাশ নিলা ওয়েস্টার্ন সিটি নামক হাউজিংয়ে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পাশাপাশি উপড়ে ফেলা হয়েছে প্লটের সীমানা পিলারও। এ নিয়ে গত ২৯ জানুয়ারি থেকে চলমান এ অভিযানে এখন পর্যন্ত দুই হাজারেরও বেশি অবৈধ স্থাপনা ও ৫টি হাউজিং প্রকল্প উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
এদিকে প্রায় দেড়মাস ধরে জোরালোভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালালেও অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা কারীদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত একটি মামলাও করেনি বিআইডব্লিউটিএ।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম-পরিচালক এবং ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, অভিযান সকাল ৯টা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। এ সময় ১৩টি এক তলা, একটি দোতলা, একটি তিন তলা, একটি চার তলা ভবন, ১০টি আধা পাকা ভবন ও ৩১টি বাউন্ডারি দেয়াল উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় বিআইডব্লিউটিএর বিভিন্ন স্তরের কর্তকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আজ সকাল ৯টা থেকে মোহাম্মাদপুরের রামচন্দ্রপুর এলাকা ও তুরাগ নদের বিপরীতে অভিযান চালানো হবে।
তিনি আরো বলেন, সীমানা পিলারের মধ্যে থাকা সকল অবৈধ স্থাপনাগুলো লালদাগ দিয়ে মার্কিং করা হয়েছে। এবারের এ অংশে প্রায় বড় ধরনের ৪শ অবকাঠামো রয়েছে। এছাড়াও আরো প্রায় এক হাজার ছোট ছোট স্থাপনা রয়েছে যা উচ্ছেদ করা হবে।
এদিকে জোরালো উচ্ছেদ অভিযান চালালেও অবৈধ স্থাপনা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত একটিও মামলা করেনি বিআইডব্লিউটিএ। এছাড়া জরিমানার পরিমাণও নগণ্য।
ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, রাজউকের অনুমোদন ছাড়া ভবনগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। দেড়মাসেরও বেশি সময়ের অভিযানে মাত্র দেড় লাখ টাকার মতো জরিমানা করা হয়েছে। ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজধারী মামলা হওয়া উচিত। সরকারের অর্থ ব্যয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে এসব অর্থ নেয়া দরকার। আইনের বিধানে দখলদারদের উচ্ছেদের পাশাপাশি মামলারও অনুমোদন রয়েছে।
তবে সংস্থাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যে আইনে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় সে আইনে বিধান আছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের জন্য মামলাও করা যায়। কিন্তু অভিযানকালে প্রকৃত অপরাধীদের না পাওয়ায় আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা যাচ্ছে না। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান