ইমরুল শাহেদ : বিদেশি ছবি প্রদর্শন ও আমদানির ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে নীতিমালা সহজ ও দেশীয় ছবি নির্মাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে। সমিতির নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন, সরকার যদি ১১ এপ্রিলের মধ্যে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ না নেয় তাহলে ১২ এপ্রিল থেকে দেশের সব সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ, প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, উপদেষ্টা মিঞা আলাউদ্দিন, প্রদর্শকদের নেতা মির্জা আব্দুল খালেকসহ বিভিন্ন সিনেমা হলের মালিকরা। ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেছেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে আগে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করে কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি। পর্যাপ্ত ও মানসম্মত দেশীয় ছবির অভাব থেকে সিনেমা হল বাঁচাতে বিদেশি ছবি দেশে আনতে সাফটা চুক্তির নীতিমালা আরও সহজ করার দাবি জানান নওশাদ। এমনকি হলিউডের ছবিগুলোর মতোই হিন্দি ও উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্র ওইসব দেশের সঙ্গে একইসময়ে বাংলদেশেও মুক্তির দাবি জানায় সংগঠনটি।
অন্যদিকে প্রদর্শক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ১২৩৫টি থেকে ১৭৪টিতে নেমে এসেছে। দেশের ছবি নির্মাণের সংখ্যা বছরে ৩৫-৪০টিতে এসে ঠেকেছে। বলা হচ্ছে, ছবি আমদানি করা হলে দেশীয় শিল্পী-কুশলীদের উপার্জন কমে যাবে। বর্তমানে সিনেমা হলের সঙ্গে জড়িত ৫০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে আছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে হল ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল। নতুন বিনিয়োগ ও মেধাসম্পন্ন নির্মাতা আসছে না। এর সমাধান কী? যখন থেকে ছবি আমদানি করা হচ্ছে তখন থেকে প্রদর্শক সমিতিকে আশ্বাস দেয়া হচ্ছে, ভালো নির্মাতা আসছেন, দেশের চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়াবে। সেটা তো হচ্ছে না। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বহু দিন প্রদর্শক সমিতি চুপ ছিল, কিন্তু আর নয় বলে তারা হুশিয়ারি দেন। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান