ফেডের হস্তক্ষেপ ছাড়াও বাড়তে পারে ডলারের মান
সিএনবিসি : যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) সুদহার না বাড়ালেও চলতি বছর বাড়তে পারে ডলারের মান। ডলার ইনডেক্স, যা ছয়টি মুদ্রার বিপরীতে ডলারের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে, ২০১৯ সালে এ পর্যন্ত ১ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৫ ফেব্রæয়ারির পর গত সপ্তাহে এটি সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে। ইউরোর বিপরীতে এ পর্যন্ত ডলারের মান বেড়েছে ২ শতাংশ। বণিক বার্তা
সুদহার ধীরে বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত মার্কিন সরকার ঘোষণা করেছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই বলেছিলেন ডলারের মান নি¤œমুখী হবে। তবে সে পর্যবেক্ষণ উল্টে দিয়ে মুদ্রাটির মান বাড়ছে। মঙ্গলবার প্রাপ্ত মূল্যস্ফীতি উপাত্তে এরই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী পিটার এনজি বলেন, ‘নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে চাহিদা থাকায় ডলারের অবস্থান মজবুত রয়েছে। বৈশ্বিক শ্লথগতির প্রভাব পড়ছে সবার ওপরই এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে ডলারের ভালো কোনো বিকল্প পাওয়া যাচ্ছে না।’
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে শ্লথগতির আশঙ্কায় বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারী ও সম্পদ ব্যবস্থাপকদের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করছে। ফেব্রæয়ারিতে চীনের রফতানি পূর্ববর্তী বছরের একই মাসের তুলনায় ২০ দশমিক ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
একই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। মাত্র ২০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় ফেব্রæয়ারিতে। রেফিনিটিভের জরিপে অর্থনীতিবিদরা আশা করছিলেন, গত মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ইউরোপের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস ১ দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ দশমিক ১০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি)। ইসিবি প্রেসিডেন্ট মারিও দ্রাঘি গত বৃহস্পতিবার বলেন, ‘চলতি বছরে অর্থনৈতিক স¤প্রসারণ বেশ পরিমিত থাকবে।’ যদিও অর্থনৈতিক উপাত্তে বিস্তৃত শ্লথগতি দেখা যাচ্ছে, তবে অন্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি বেশ শক্তিশালী। চতুর্থ প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ। এদিকে ইনস্টিটিউট ফর সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট মঙ্গলবার জানায়, ফেব্রæয়ারিতে নন-ম্যানুফ্যাকচারিং কর্মকাÐ ৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫৯ দশমিক ৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন টিভি মাধ্যম সিবিএসের ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানে স¤প্রতি ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল জানান, তিনি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি শক্তিশালী রয়েছে। কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য অংশের দুর্বলতা যুক্তরাষ্ট্রের ওপরও প্রভাব রাখবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ