বেতন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর
আনন্দবাজার : মার্চের প্রায় অর্ধেক কেটে গেলেও আর্থিক সঙ্কটে এখনও ফেব্রæয়ারির বেতন না মেলায় বিএসএনএলের কর্মী-অফিসারদের ভোগান্তি বাড়ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিএসএনএলের অবশ্য আশ্বাস, ২০ মার্চের মধ্যে বকেয়া বেতন মিলবে। এ দিন মমতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে এ নিয়ে কড়া চিঠি দিয়েছি। কেন কিছু সংস্থা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, কেন কর্মীদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না, তা জানতে চেয়েছি।’
জম্মু ও কাশ্মীর, কেরালা ও দিল্লিতে সংস্থাটির কর্পোরেট অফিসের কর্মীরা (সিএমডি-সহ পদস্থ কর্তারা বাদে) ছাড়া ফেব্রæয়ারির বেতন এখনও পাননি সংস্থাটির প্রায় দেড় লাখ স্থায়ী কর্মী-অফিসার। সব ধরনের চিকিৎসার খরচের অল্প কিছুটা সংস্থা দিলেও অন্য সহকর্মীদের মতো সংস্থাটির ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের কর্মী ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়েরও চিকিৎসার বিল ৭-৮ মাস ধরে বকেয়া রয়েছে। তার স্ত্রীর দীর্ঘ দিন ধরে ডায়ালিসিস চলছে। তিনি বলেন, ‘বেতন না মেলায় সঞ্চয়ে হাত দিতে হচ্ছে। বকেয়া পড়ল ফ্ল্যাটের জন্য নেওয়া ঋণের কিস্তিও।’
তার সহকর্মী অনিন্দ্য সরকারেরও বাড়ির ঋণ বকেয়া পড়েছে। কর্মীদের শঙ্কা, কিস্তি বকেয়া পড়ার দায় চাপবে তাদের উপর। এ দিন অল ইউনিয়ন্স অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন অব বিএসএনএলে (এইউএবি) রাজ্যের আহŸায়ক অনিমেষ মিত্র জানান, এ সপ্তাহে বেতন না মিললে কর্মীরা আন্দোলনে নামবেন। অবশ্য বিএসএনএলের সিএমডি অনুপম শ্রীবাস্তব এ দিন জানিয়েছেন, ২০ মার্চের মধ্যে প্রায় ৮৫০ কোটি টাকার বকেয়া বেতন মেটানো হবে। সংস্থা সূত্রের খবর, ফেব্রæয়ারিতে ‘মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি’র মাধ্যমে কলকাতা ও ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলে গ্রাহক হয়েছেন অন্য সংস্থার যথাক্রমে ২৩ হাজার ও ৬২ হাজার গ্রাহক। আর বিএসএনএলের নতুন সিমের সংযোগ নিয়েছেন যথাক্রমে প্রায় ৫৩ হাজার ও ২৭ হাজার গ্রাহক।
কর্মী ইউনিয়নগুলির দাবি, কেন্দ্রের বঞ্চনায় সম্ভাবনাময় বাজার হারানোর শঙ্কায় রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ