বিশ^ মানবাধিকার প্রতিবেদনে এইচআরডবিøউ জানালো বাংলাদেশের গণমাধ্যম তোপের মুখে রয়েছে
আসিফুজ্জামান পৃথিল : ২০১৮ সালের ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু জেষ্ঠ্য বিরোধীদলীয় নেতাকে গ্রেফতার করে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনুরোধ উপেক্ষা করে প্রথিতযশা আলোকচিত্রি শহিদুল আলমকে ১০০ দিনের বেশি কারাগারে আটকে রাখা হয়। মোটের উপর দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি খুব বেশি খারাপ না হলেও সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমকে পড়তে হচ্ছে তোপের মুখে। এসব উঠে এসেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ২০১৯ সালের বিশ^ মানবাধিকার পরিস্থিতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনটি বলছে বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে ১২টি দেশের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে এইচআরডাবিøউ। দেশগুলো হলো- ইয়েমেন, হাঙ্গেরী, সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা, ফিলিপাইন, কঙ্গো, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, মিয়ানমার, তুরস্ক, মিসর ও রাশিয়া।
এই প্রতিবেদনটি বলছে, গণমাধ্যম ও সুশীলসমাজের উপর হামলা চালিয়ে সরকার আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করেছে। প্রতিবেদনের শুরুতেই ১০৭ দিন জেল খাটা ড. শহিদুল আলমের প্রসঙ্গ তুলে আনে এনজিওটি। তারা বলছে, আগস্টে শহিদুল আলম আল-জাজিরা এবং ফেসবুকে বিপন্ন মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেছিলেন। এইচআরডাবিøউ এর অভিযোগ নতুন আইনের মাধ্যমে ফেসবুক সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করেছে সরকার। এরপরেই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় এবং মানবিক সহায়তা দেওয়ায় বাংলাদেশের ভ’য়শী প্রশংসা করা হয়। এইচআর ডাবিøউ বলছে শুধু এবারের রোহিঙ্গা নং, আগে থেকে আরো ৩ লাখ শরণার্থী বাংলাদেশের কারণে জীবন বাঁচাতে পেরেছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অঙ্গিকার করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করা হয়। তবে রানা প্লাজা ধসের পর চালু হওয়া বাংলাদেশ অ্যাকর্ড এবং বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স এর কার্যক্রম বন্ধ করার সমালোচনা করা হয়েছে।
এইচআরডাবিøউ এর অভিযোগ বাংলাদেশে গত বছর বেশ কিছু শান্তিপূর্ণ জনসমাবেশে হামলা চালানো হয়েছে। এতে শিকার হয়েছে, বিরোধীদল, ছাত্র, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারী এবং গণমাধ্যম। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইানের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। চাপের মুখে রয়েছে দেশীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলো। র্যাব এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর অভিযানে মানবতা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে এইচআর ডাবিøউ।
প্রতিবদেনটি বলছে বর্তমানে বিশ^জুড়ে মানবাধিকারের জন্য কঠিন এক সময় চলছে। বিশে^র অনেক নেতারাই এমন কাজ করছেন, যা জনগনের জন্য খারাপ। এই নেতারা খারাপ পরিস্থিতির জন্য ভিন্ন দেশ ও ধর্মেল মানুষকে দায়ি করছেন। তাদের জনগনও এ ধরণের কথায় বিশ^াস করছেন। এই নেতাদের শুরু করা সংঘাতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। তারা মানুষকে নিজেরে বিরুদ্ধে কথা বলতে দিচ্ছেন না। নিজের বিশ^াসের কথা বলায় কিছু মানুষকে কারাগারে যেতে হয়েছে। জনগন অন্য নেতাকেও বাঁছাই করতে পারছেন না। সম্পাদনা : ইকবাল খান